সেই মধ্যযুগের ব্রুস পুনরায় ফিরে এসেছেন আমাদের পৃথিবীতে। তবে এবার ঢাল-তলোয়ার নিয়ে নয়।
ব্রুসের মতো ক্লপ যেন অধ্যাবসায়ের অনন্য মূর্তি। গত সাতটি প্রধান ফাইনালের মধ্যে ছয়বার বিমর্ষ হয়ে ফিরলেও ভেঙে পড়েননি। অবশেষে দেখা পেয়েছেন সাফল্যের। টটেনহ্যামকে হারিয়ে ১৪ বছর পর লিভারপুলকে এনে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা।
সেই ২০১২ সালের ১২ মে, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দায়িত্বে থাকাকালীন বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে জার্মান কাপ জিতেছিলেন। এরপর ডর্টমুন্ডের হয়ে একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুইটি জার্মান কাপে হেরেছেন তিনি।
পরে জার্মানির পাঠ চুকিয়ে চলে আসেন লিভারপুলে। ততদিনে অবশ্য রটে গেছে, ক্লপ সেরাদের একজন কিন্তু শিরোপা জিততে পারেন না। সমালোচকদের কথাটা অক্ষরে অক্ষরে ফলতে লাগল অ্যানফিল্ডেও। গত আসরে চ্যাম্পিয়নস লিগে অলরেডসরা দুর্দান্ত খেললেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যায়। তার আগে লিগ কাপ এবং ইউরোপা লিগের হার ব্যর্থতার ঝুড়িটা সমৃদ্ধ করেছে ক্লপের।
শুধু তাই নয়, ২০১৮-১৯ মৌসুমে মাত্র এক পয়েন্টর ব্যবধানে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা তুলে দিতে হয়েছে ক্লপকে। কিন্তু প্রবাদে আছে, ‘পরাজয়ে ডরে না বীর। ’
অবশেষে জয় হলো বীরের। নিজের ও লিভারপুলের শিরোপা খরা কাটল। চ্যাম্পিয়নস লিগের অল ইংলিশ ফাইনালে টটেনহ্যামকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে উৎসবে মাতে ক্লপের দল।
গত সাত বছরে সবচেয়ে বেশি সেমিফাইনাল জয় এবং সবচেয়ে বেশি ফাইনাল হারের রেকর্ড ক্লপের। ফাইনাল শুরুর আগে তাই জানিয়েছিলেন, ‘সম্ভবত আমিই সবচেয়ে বেশি সেমিফাইনাল জয়ী কোচ। ’
লিভারপুলের চতুর্থ কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন লিগ জিতেছেন ক্লপ। তার আগে বব পেইসলি, জো ফাগান এবং রাফায়েল বেনিতেজের হাত ধরে পঞ্চম শিরোপা জিতে অলরেডসরা। ইউরোপীয়ান কাপজয়ী পঞ্চম জার্মান কোচ হলেন ক্লপ। আর ইয়ুপ হেইঙ্কসের পরে প্রথম জার্মান যিনি জার্মান ক্লাবের বাইরে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৮ ঘন্টা, জুন ০২, ২০১৯
ইউবি