সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৪ ম্যাচে জয় বঞ্চিত থেকে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ব্লুজদের মুখোমুখি হয় ডেভিড লুইস-মেসুত ওজিলরা। প্রথমবারের মতো তাদের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন মাইকেল আর্তাতা।
হাইভোল্টেজ ম্যাচটিতে অবশ্য শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলছিল আর্সেনাল। ১৩ মিনিটে ইংলিশ ডিফেন্ডার চেম্বারের পাস থেকে হেডে গোল করে ঘরের সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান গেবানিজ স্ট্রাইকার পিয়েরে-এমেরিক অউবামেয়াং।
পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে চেলসি। কিন্তু প্রথমার্ধে লুইস-সাকাদের রক্ষণদেয়াল ভাঙতে পারেনি তারা। বিরতির পরও গোল শোধের চেষ্টা অব্যাহত রাখে ব্লুজরা। কিন্তু কোনোভাবেই আর্সেনালের ডি-বক্সে সুবিধা করতে পারছিল না ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল।
তবে শেষ মুহুর্তে সুযোগ চলে আসে তাদের হাতে। ৮৩ মিনিটে ফ্রি-কিক নেন ম্যাসন মাউন্ট। ইংলিশ মিডফিল্ডারের স্পট কিক থেকে আনমার্কে থাকা জোর্গিনহো বল ঠেলে দেনে আর্সেনালের জালে।
সমতায় ফেরার আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে ল্যাম্পার্ডের শিষ্যরা। ৮৭ মিনিটে উইলিয়ানের পাস থেকে ব্যবধানটা ২-১ করে চেলসিকে কামব্যাকের গল্প করার রসদ এনে দেন ট্যামি আব্রাহাম।
শেষ মুহুর্তে পিছিয়ে পড়ে খেই হারিয়ে ফেলে আর্তাতার দল। নির্ধারিত সময়ের পরও অতিরিক্ত সাত মিনিটে ম্যাচ গড়ালেও ঘরের মাঠে পরাজয় এড়াতে পারেনি আর্সেনাল।
অনবদ্য এই জয়ে ২০ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানটা ধরে রেখেছে চেলসি। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম স্থানে থেকে বছর শেষ করলো আর্সেনাল। ১৮ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে লিভারপুল।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
ইউবি