বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মেয়েদের ফুটবলার হওয়ার প্রতিবন্ধকতা, বাধার গল্পের সঙ্গে আমরা সকলেই কম-বেশি পরিচিত। আমরা সকলেই জানি কত প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে ফুটবল খেলতে হয় মেয়েদের।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের নারী দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন ছোটন। তবে শুরুর গল্পটা ছিল ভিন্ন। পুরুষ দলের ফুটবলেই যেখানে বলার মতন তেমন কোনও সাফল্য নেই, সেখানে নারী দলের কোচ হওয়ার সিদ্ধান্ত সত্যিই দুঃসাহসিকতার। যখন প্রথম দিকে নারী ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন আশেপাশের লোকজন মহিলা কোচ টিজ করতেন বলে জানিয়েছেন কোচ ছোটন। তিনি বলেন, ‘শুরুতে যখন দায়িত্ব নিলাম আশেপাশের মানুষরা আমাকে মহিলা কোচ বলে টিজ করতো। আমার বন্ধুবান্ধবরাও আমাকে মহিলা কোচ বলে টিজ করতো। ’ আজ সব সমালোচকদের কড়া জবাবই দিলেন ছোটন। আজ তার সফলতায় সকলেই গর্বের সঙ্গে তার নাম উচ্চারণ করবে এটা হলফ করে বলা যায়।
শিরোপা জয়ের পর সাবিনাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ছোটন। তিনি বলেন, ‘নেপালের বিপক্ষে জয়টা সহজ ছিল না। যখন ২-১ গোলে আমরা এগিয়ে গেলাম তখন স্টেডিয়ামে নেপালের সমর্থকরা অনেক আওয়াজ করছিলেন। কোনও ইনসট্রাকশনই মাঠে খেলোয়াড়রা শুনতে পাচ্ছিল না। এক্ষেত্রে সাবিনা অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাকে আলাদা করে ধন্যবাদ দিতেই হয়। ’
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলেই নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন। দলের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছোটন। তিনি বলেন, ‘পুরো আসরেই মেয়েরা ভালো খেলেছে। আমরা আমরাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি। আমরা এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সেরা ফুটবল দল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এআর