ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৪৫ রোগীর অপারেশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৪৫ রোগীর অপারেশন

ঢাকা: বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গরিব, দুস্থ ৪৫ জন রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি এবং মাংস বৃদ্ধি অপারেশন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং নবজাগরণ প্রতিবন্ধী অধিকার সংস্থার যৌথ উদ্যোগে রোগীদের অপারেশন করা হয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবতৈনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে সার্জারিতে অংশ নেন ডা. অ্যান্থনি অ্যালবার্ট, ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বি, ডা. তাসরুবা শাহনাজ এবং ডা. আক্তার ফেরদৌসী জাহান। ১৭ জন পুরুষ ও ২৮ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন রোগীর অপারেশন করা হয়েছে।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড এডমিনিস্ট্রেশন) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, গরিব, দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়া চলে আসছে। সারা দেশে বিনামূল্যে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৪৫ জনের বেশি রোগীর বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়েছে।

ক্যাম্পটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাম্পে মোট ১ হাজার ২০০ রোগীকে বিনামূল্য চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য ৪২০ জনকে ছানি, নেত্রনালি ও মাংস বাড়ার কারণে চোখ অপারেশনের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

চোখের ছানি অপারেশনের উপকারভোগীরা বলেন, আমাদের অনেকের ১ বছরের বেশি সময় ধরে চোখের সমস্যা। সরকারি সুবিধা আসলে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানের চেনা পরিচিতরাই পায়, আমরা পায় না। কিন্তু এখানে সেসব নেই। সবাই সমান অধিকার পায়।

বিনামূল্যে চোখের অপারেশ করা এক উপকারভোগী বলেন, ডাক্তার চশমা না দিয়ে অপারেশনের কথা বলেন। অপারেশনের টাকা তো নাই। তখন ডাক্তার বলেন, এখানকার কথা। তারপর এখানে আসি। আমরা এতটাই গরিব যে, চোখের অপারেশন করতে পারিনি। তবে এখানে সব বিনামূল্যে হচ্ছে। আমার জন্য এ অনেক বড় প্রাপ্তি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।