ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

ওষুধি গুণে অনন্য ‘তেলাকুচা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:১৪, অক্টোবর ২২, ২০২৫
ওষুধি গুণে অনন্য ‘তেলাকুচা’ ওষুধি গুণে অনন্য ‘তেলাকুচা’

গ্রামীণ সড়কের পাশে, বনে-জঙ্গলে, পথে-ঘাটে কিংবা বাড়ির আশপাশে একটু খেয়াল করলেই দেখা মিলবে লাউ ফুলের মতো সাদা ফুল আর তরতাজা গাঢ় সবুজ রংয়ের কচিপাতার লতা গাছ। সঙ্গে সবুজ আর লাল টকটকে থোকা থোকা ফল।

অনেকটা পটলের মতো দেখতে ফলগুলো পাখিদের খুব প্রিয়। গ্রাম বাংলার সহজলভ্য এ গাছটিই বহু ভেষজগুণ সমৃদ্ধ উদ্ভিদ ‘তেলাকুচা’।
অঞ্চল ভেদে একে কুচিলা, তেলা, তেলাকুচ, তেলাহচিসহ বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।

তেলাকুচা গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ও ফল অত্যন্ত উপকারী। ডায়াবেটিস, জন্ডিস, পা ফোলা রোগ, শ্বাসকষ্ট, কাশি, স্তনে দুধ স্বল্পতা, ফোঁড়া ও ব্রণ, আমাশয়, মাথা ঠাণ্ডা রাখা এবং অরুচির রোগের ক্ষেত্রে তেলাকুচা গাছের উপকরণ রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার।

গ্রামে তেলাকুচার পাতার রস মাথা ঠাণ্ডা রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। শাক হিসেবেও খাওয়া হয় এর পাতা। পাড়া-মহল্লায় টুকরিতে করে এ শাক বিক্রিও হতে দেখা যায়।

স্থানীয় উদ্যানতত্ত্ববিদ ও কৃষিবিদরা জানান, তেলাকুচা Cucurbitaceae পরিবারভুক্ত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Coccinia grandis। তেলাকুচার পাতার রসে আছে ক্যালসিয়াম, লোহা, ভিটামিন এ এবং সি। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র প্রাকৃতিকভাবে তেলাকুচা জন্মে।  

সাধারণত গ্রামের যেখানে-সেখানে অযত্নে বেড়ে ওঠে লতানো গাছ তেলাকুচা। কিন্তু খুব সহজেই পাওয়া গেলেও এর ভেষজ গুণ সম্পর্কে জানেন না গ্রামের অধিকাংশ মানুষ।
প্রবীণরা বলেন, আগে পেটের পীড়া, জন্ডিস, পা ফোলা, কাঁশি হলেই তেলাকুচা পাতার রস আর শিকড় থেঁতলে খাইয়ে দেওয়া হতো তাদের। এতে জলদি রোগ সেরে যেতো। কিন্তু এখন আর তেলাকুচার তেমন ব্যবহার নেই।

সাধারণত চৈত্র-বৈশাখ মাসে তেলাকুচা রোপণ করতে হয়। বেলে বা দো-আঁশ মাটিতে ভলো চাষ হয়। দুই থেকে আড়াই ফুট দূরত্বে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষাবাদ করা যায়।
পুরাতন মূল শুকিয়ে যায় না বলে গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি হলে নতুন করে তেলাকুচা জন্ম নেয়। কয়েক বছরের পুরানো মূল থেকে গাছ হয়ে থাকে। এর বীজ থেকেও চারা গজায়। এ লতা জাতীয় গাছটি অত্যন্ত উপকারী।  

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।