ঢাকা: দেশের এমবিবিএস কোর্সে নেপালের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নেপালে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কোনোভাবেই যেন জাল সার্টিফিকেট দিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারির কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।
বিগত বছরগুলোতে শিক্ষাগত যোগ্যতার নকল এবং জাল সার্টিফিকেট দিয়ে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন নেপালি শিক্ষার্থীরা। তাই নেপালি শিক্ষার্থী আসার বিষয়ে আরও বেশি যাচাই-বাছাইয়ের জন্যে দুদেশের দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আগামী সপ্তাহেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে। তখন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য ও কাগজপত্র নিয়ে আবারও যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছেন ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান।
২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র বাংলানিউজকে বলেন, সার্কভুক্ত দেশ নেপাল থেকে স্কলারশিপ নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে বিএমডিসি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
গত শিক্ষাবর্ষে বেশ কজন নেপালি শিক্ষার্থীকে বাদ দেওয়া হয়। কারণ এ দেশে আসার পর দেখা যায়, তারা জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট নিয়ে ভর্তি হয়েছে। পরে তাদের দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়। এসব শিক্ষার্থীদের জন্যে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে।
এ বিষয়ে এ বি এম আবদুল হান্নান বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাদের শিক্ষার্থীদের বিনা পয়সায় পড়ানো হয়। কিন্তু নেপাল থেকে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থী আসার বিষয়টি ধরা পড়েছে। দুদেশের একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থী ঢাকায় পৌঁছে বলে তিনি জানান।
ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এখানে দুদেশেরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জড়িত। এ বছর নেপালের শিক্ষার্থী আসার বিষয়ে আরও বেশি যাচাই-বাছাইয়ের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদেশের দূতাবাসকেই নির্দেশ দেওয়া হয়। নেপালের দূতাবাসে শিক্ষার্থীরা আসলে তাদের তথ্য ওই দেশের মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল থেকে যাচাই করে নেওয়ার কথা বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে ডা. আবদুল হান্নান বাংলানিউজকে বলেন, গত ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ৯ জন এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে নেপালের ৭ জন শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে অধ্যায়ন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৩
সম্পাদনা: খুররম জামান, ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাফের্য়াস এডিটর/সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর