ঢাকা: দেশকে পোলিও মুক্ত করার শপথে ২১ ডিসেম্বর সারা দেশের ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে পোলিওর প্রতিষেধক খাওয়ানো হবে।
শনিবার ২১ ডিসেম্বর জাতীয় টিকা দিবসের দিনে সারা দেশের ০ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে এ পোলিও প্রতিষেধক খাওয়ানো হবে।
সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল, বিদ্যালয়সহ অস্থায়ী ভিত্তিতে স্থাপিত সারাদেশের প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার কেন্দ্র থেকে একযোগে দেশের সব শিশুকে বিনামূল্যে এ সেবা দেওয়া হবে। পাশাপাশি বাস, ট্রেন স্টেশন, লঞ্চঘাট প্রভৃতি জনসমাগমস্থলেও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ টিকা দান কর্মসূচি চালাবে লাখ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী।
এছাড়া পোলিও প্রতিষেধক গ্রহণের আওতার বাইরে থাকা শিশুদের খুঁজে বের করে তাদের টিকা দানের আওতায় আনার জন্য ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর বাড়িতে বাড়িতে পোলিও প্রতিষেধক দানের কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।
দেশের একটি শিশুও যেন পোলিও প্রতিষেধক গ্রহণ থেকে বাদ না পড়ে সেজন্যেই এ উদ্যোগ।
১৯৮৬ সালের আগে বাংলাদেশে প্রতি বছর কমপক্ষে সাড়ে এগারো হাজার শিশু পোলিও আক্রান্ত হতো। তবে ১৯৮৮ সালে বৈশ্বিক পোলিও নির্মূল কর্মসূচির আওতায় দেশে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলে তা দ্রুত সফলতা লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত। এটা সম্ভব হয়েছে পোলিও নির্মূলে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্মিলিত সদিচ্ছা, সরকার-সিভিল সোসাইটি এবং উন্নয়ন সহযোগীদের দৃঢ় অংশীদারিত্বের কল্যাণে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই জাতীয় টিকা দান দিবসের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
কোনো শিশু যেন পোলিও প্রতিষেধক গ্রহণ থেকে বাদ না পড়ে তা নিশ্চিত করবে হাজার হাজার মাঠ ব্যবস্থাপক এবং লাখ লাখ স্বাস্থকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী।
পোলিও নির্মূলের এ কর্মসূচিতে সহায়তা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, দি সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনটেশন (সিডিসি) এবং ইউনিসেফ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট্ এডিটর (অ্যাক্ট.)