ঢাকা: বিশ্বে প্রতিবছর যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। আর বর্তমানে এক কোটি ২০ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় ভুগছে।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং ব্র্যাকসহ ৪৩টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ এ সম্মেলনের আয়োজন করে
এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ড. আশেক হোসেন।
যক্ষ্মার সেবা সবার তরে, পৌঁছে দেব ঘরে ঘরে এই স্লোগান নিয়ে এ বছর যক্ষ্মা দিবস পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম কনসাল্টটেন্ট ডা. মজিবর রহমান। প্রবন্ধে বিশ্বের ২০১২ সালের বিশ্বে যক্ষ্মার সার্বিক পরিস্থিতির পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
প্রবন্ধে আরও উল্লেখ করা হয়, ২২টি দেশে বিশ্বের মোট যক্ষ্মা রোগী শতকরা ৮০ ভাগ বাস করে। মোট যক্ষ্মা রোগীর শতকরা ৪০ ভাগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বাস করে।
চিকিৎসার শেষ পর্যায়ে কেন রোগীদের যক্ষ্মা চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয় এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, বাংলাদেশে অনেক বড় মাপের চিকিৎসক রয়েছেন। ডট সেন্টারের মাধ্যমে আমরা প্রায় শতভাগ ভালো চিকিৎসা দিচ্ছি।
বক্তারা বলেন, সচেতনতা প্রধান সহায়ক হিসেবে কাজ করে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে। অনেকেই চিকিৎসা নিতে আসেন না। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ব্যবস্থা হওয়ায় অনেক সময়ে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন না। যক্ষ্মা চিকিৎসা বিস্তৃত না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো আর দারিদ্রতা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক ড. আকরামুল ইসলাম, জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবদুস শাকুর খান, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেকেন্ডারি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডা. আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৪