হবিগঞ্জ: জেলার বানিয়াচং উপজেলার ভাটিপাড়া এলাকায় ব্র্যাকের ভাসমান ডেলিভারী সেন্টারে নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক মা।
সোমবার বিকেল ৪টায় ব্র্যাক সুবিদপুর এলাকা উন্নয়ন অফিসের অধীনে পরিচালিত ভাসমান ডেলিভারী সেন্টারে এ নবজাতকের জন্ম দেন বানিয়াচং উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের কনক মালা।
ব্র্যাক সুবিদপুর এলাকা উন্নয়ন অফিস সূত্র বাংলানিউজকে জানায়- ব্র্যাক দীর্ঘদিন ধরে নৌকায় তৈরী ভাসমান ডেলিভারী সেন্টারে গর্ভবতী মহিলাদের প্রসব পূর্ব পরিচর্যা সেবা দিয়ে আসছে।
অনেক গর্ভবতী মহিলা ভাসমান ডেলিভারী সেন্টারে সন্তান প্রসবের ইচ্ছা পোষণ করলেও স্থানীয়ভাবে প্রচলিত বিভিন্ন কু-সংস্কারের কারণে ইতোপূর্বে কেউ ওই সেন্টারে সন্তান প্রসব করেননি।
কিন্তু স্থানীয় ভাটিপাড়া গ্রামের গর্ভবতী কনক মালার স্বপ্ন ছিল ভাসমান ডেলিভারী সেন্টারে সন্তান জন্ম দেওয়ার। তিনি বিভিন্ন বাধা স্বত্ত্বেও বার্থ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তার ইচ্ছা পূরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলেন।
কনক মালা তার স্বপ্নের বর্হিপ্রকাশ ঘটান সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে। তিনি ভাসমান ডেলিভারী সেন্টারেই ৩ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের সুস্থ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এ সময় নবজাতকের পরিবারের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।
ডেলিভারী কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন- প্যারামেডিকস তাছলিমা আক্তার, স্বাস্থ্য কর্মী সীমা রানী দাশ, স্বাস্থ্য সেবিকা প্রমীলা দাশ ও ধাত্রী জুলেখা।
তথ্য ও নৌকা পরিচালনায় ছিলেন- বশির চৌধুরী। রেফারে প্রস্তুত ছিলেন রেফার পিও মো. আল আমিন সরকার।
এ ব্যাপারে ব্র্যাক আই,ডি,পির স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচি এবং ওয়াশ কর্মসূচির শাখা ব্যাবস্থাপক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার বাংলানিউজকে জানান- ভাসমান ডেলিভারী সেন্টারে সন্তান প্রসবের ঘটনা হাওড় অঞ্চলের সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে এক যুগন্তকারী সাড়া ফেলেছে।
এলাকা উন্নয়ন সমন্বয়কারী বিলকিস জাহান বাংলানিউজকে জানান, সুবিদপুর এলাকার ভাটিপাড়া, বলাকীপুর, প্রতাপপুর, নয়াগাও, ভবানীপুর, ধানকুড়া গ্রাম ছাড়াও সুজাতপুর, মুরাদপুর, ইকরাম, চৌধুরী বাজার শাখা অফিসের গ্রামগুলোতে এই ভাসমান ডেলিভারী সেন্টার সেবা দিতে পারবে।
এই কর্মসূচীর সেক্টর স্পেশালিস্ট মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয়কারী মোঃ মহসিন উদ্দিন সহ ব্র্যাকের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ ডেলিভারী সেন্টারে প্রথম ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতককে স্বাগত জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৪