ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ছবি : রাজিব / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঢাকা টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিটিআই) ও জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ লঙ্ঘন করছে।
 
এ জন্য প্রতিষ্ঠান দু’টির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রস্তুত করে মামলা দায়ের ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।


 
প্রায় ৭’শটি সংগঠন নিয়ে এ জোট গঠিত বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
 
সোমবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছে জোটটি।
 
মানববন্ধন থেকে বিতরণ করা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ১২ ধারায় তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও ব্যবহার ক্রমাগত নিরুৎসাহিত করার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের বিধান রাখা হয়েছে।
 
অথচ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দ্রব্য উৎপাদনে সম্প্রতি ডিটিআই ও জেটিআই’র মধ্যে বাংলাদেশে সিগারেট ব্যবসা করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
 
এমনকি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫’র ৫ (১) (ক) ও (খ) ধারা ভঙ্গ করে ডিটিআই ব্যাপকভাবে ধুমপানের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এর মাধ্যমে জনসাধারণকে সিগারেট ক্রয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর ফলে সারা দেশের জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
 
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন স্থানে ফ্রি সিগারেট বিতরণ করছে। জনসাধারণকে উৎসাহিত ও প্রলোভনের মাধ্যমে মোবাইল ফোন, সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, ম্যাজিক বার্নার, রাইস কুকার, টি-শার্ট ও সিগারেটসহ বিক্রয়স্থলে বড় ছাতা ফ্রি বিতরণ করছে।
 
এছাড়া বিভাগীয় শহরে বিভিন্ন দোকানদারকে তাদের ব্র্যান্ড পরিচিতির জন্য ওয়েস্টিন সিগারেটের লোগো ও বিভ্রান্তিকর শব্দ সংবলিত টং দোকান ফ্রি বিতরণ করছে। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব দোকানে সিগারেটের ব্র্যান্ড ও লোগো প্রচার করছে যা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পরিপন্থী।
 
এমনকি প্রতিষ্ঠানটি কোম্পানির বক্স আকৃতির ড্যাংলার তৈরি করে সারাদেশে সিগারেটের দোকানগুলোতে ব্যাপকভাবে সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে প্রদর্শন করছে। যা আইনের ৫ (ক) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
 
স্মারকলিপিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতি ৭টি বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
এএসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।