গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে চিকিৎসক ও নার্সদের চলমান কর্মবিরতি কর্মসূচি সাতদিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (২৪ মে) দুপুর আড়াইটায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অফিস কক্ষে বিএমএ নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএমএ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. আবিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী শফিকুল ইসলামসহ চিকিৎসক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা-ভাঙচুর ও চিকিৎসক-নার্সদের মারধরের প্রতিবাদে শনিবার থেকে জেলার সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোষীদের শাস্তির আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সাতদিনের জন্য বিএমএ নেতৃবৃন্দ তাদের ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দেন। তবে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে বলে তারা জানিয়েছেন।
এর আগে হামলা-ভাঙচুর এবং চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনের রাস্তায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিকে, দ্বিতীয় দিনের মতো জেলার সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি কর্মসূচি পালিত হওয়ায় ভোগান্তি হয়েছে রোগীদের।
টুঙ্গিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরাম হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আসামি করা হয়েছে ২ সহস্রাধিক লোককে।
আসামিদের মধ্যে আটক ১১ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে সহস্রাধিক এলাকাবাসী ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পবিত্র কুমার কুণ্ডু, নার্স কাকতি লতা পাল ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
** গোপালগঞ্জে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৫
আরএ