ঠাকুরগাঁও: গত ৯ মাস ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পথ্য খাতে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে।
পথ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে রোগীদের খাদ্য সরবরাহ।
২০১১ সালের জানুয়ারিতে প্রশাসনিক অনুমোদন সাপেক্ষে ৩১ থেকে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু হয় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ দফায় উন্নয়ন খাতে মাত্র ২ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ পায় এ প্রতিষ্ঠান।
গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসের পথ্য সরবরাহের বিল পরিশোধ করা হয়। এরপর আর অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৯ মাসে অতিরিক্ত ১৯ শয্যার রোগীদের পথ্য সরবরাহ বাবদ প্রায় ৫ লাখ টাকার বিল বকেয়া পড়ে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ওই বিল দাখিল করলেও তা দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পথ্য সরবরাহকারী আব্দুল আজিজ জানান, বরাদ্দ না পেলে পথ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে, গত ১৫ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ৩১ শয্যার অতিরিক্ত ১৯ শয্যার রোগীদের পথ্যের বকেয়া পরিশোধের প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে দিক-নির্দেশনা চেয়ে সিভিল সার্জনকে চিঠি দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ১৭ মে স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে ডিও লেটার দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৫
এসআর