ঢাকা: বাংলাদেশে পৌনে দুই লাখ মানুষের জন্য মাত্র একজন চক্ষু চিকিৎসক আছেন। যা মোট জনসংখ্যার তুলনায় খুবই কম।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রথমার্ধের আলোচনায় চক্ষু বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য দেন।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে যাদের চোখে ছানি পড়েছে, তাদের প্রতি ১০ লাখের মধ্যে মাত্র এক হাজার তিনশ’ জন ছানি অপারেশন করতে পারছেন। অথচ ভারতে এ সংখ্যা ৬ হাজার এবং নেপালে ৩ হাজার ৮৪৫।
কর্মশালায় কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতি (ওএসবি) ও চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা খাতে কর্মরত আন্তর্জাতিক এনজিও ফোরাম এ কর্মশালার আয়োজন করে।
চক্ষু স্বাস্থ্যসেবায় চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত এবং ভিশন ২০২০-এর লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরতেই এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
কর্মশালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেসসহ (আইএপিবি) বিভিন্ন চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সংস্থা দু’টি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, নির্ধারিত চক্ষু স্বাস্থ্য সূচক অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে হলে বাংলাদেশকে দ্রুত চক্ষু চিকিৎসক, সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথালমোলোজির ভাইস-প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আভা হোসেন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, একটি দক্ষ ও যোগ্য জাতি হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে চক্ষু স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। ভিশন ২০২০ লক্ষ্য অর্জনে অগ্রাধিকারগুলো ঠিক করতে হবে।
চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর প্রশংসা করেন সচিব ।
একই সঙ্গে অর্থায়নের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোর পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা চান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, বাংলাদেশে প্রতি একজন সহযোগী কর্মীর বিপরীতে রোগী আছেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৭৩ জন। যা পাশের দেশ ভারতে ৭২ হাজার ৪৭৪ এবং নেপালে ৫৯ হাজার ৯১ জন।
ভিশন ২০২০ ও সার্বজনীন চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের আরও দক্ষ চিকিৎসক এবং কর্মী প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫, আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা
এসএস/এসইউজে/জেডএস/এমএ