ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শহরের মানুষ অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
শহরের মানুষ অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছে ছবি : দেলোয়ার হোসেন বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শারীরিক পরিশ্রমের অভাবের কারণে শহরে বসবাসরত মানুষেরা অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।  

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডির ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টারে ‘পেশেন্ট অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম অন অস্টিওপোরোসিস’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তারা।

সেমিনারটির আয়োজন করে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হসপিটাল।

সেমিনারে চিকিৎসকেরা জানান, অস্টিওপোরেসিস হচ্ছে ছিদ্রযুক্ত হাড়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চুল পাকা হয় বা পড়ে যায়, চামড়া কুচকে যায় ও তারা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়।

এছাড়াও হাড় দ‍ুর্বল হয়ে যাওয়াও একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে নারীদের মেনোপজ পরবর্তী সময়ে অস্টিওপোরেসিস ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

তারা জানান, পঞ্চাশোর্ধ প্রতি তিনজন নারীর একজন এবং প্রতি পাঁচজন পুরুষের একজন এই অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হয়। অস্টিওপোরেসিস চিকিৎসার প্রধান উদ্দেশ্য হাড় ভাঙার ঝুঁকি কমানো।

অস্টিওপোরেসিস থেকে বাঁচতে সেমিনারে ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করা, নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

সেমিনারে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ও চিফ কন্সালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন বলেন, শহরের মানুষরা এখন শারীরিক পরিশ্রম করছেন না। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে তাদের দৈহিক গতি স্থবির হয়ে পড়ছে। যার ফলে এ ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন তারা।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. এম আর খান বলেন, শহরের খেলার মাঠগুলোকে উদ্ধার করতে হবে। সেখানে শিশুদের খেলা করতে, বয়স্কদের হাঁটতে দিতে হবে। আজকাল রোগীরাই বলছেন, শহরে হাঁটার জায়গা নেই।

‘মানুষ বুড়ো হয়। তবে অক্ষম না হলে মূল্য থেকে যায়। তাই শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে আমাদের নিজেদের কর্মক্ষম রাখতে হবে,’ বলেন তিনি।  
 
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক ডা. শহিদুল আলম, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, অধ্যাপক ডা. মইনুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. কে এম সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬, আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা
এমএন/আরএইচএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।