নতুন একটি পরীক্ষা স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার কাজটি আরও সঠিক হওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। টিউমার জটিল রূপ নেওয়ার আগেই এই পরীক্ষায় ধরা পড়বে বলে গবেষক-চিকিৎসকরা দাবি করছেন।
বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক পদ্ধতি যা থেকে বোঝা যাবে কোন ধরনের ক্যান্সার ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে, আর কেবল তা-ই নয়, চিকিৎসকরা এই ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধেও নিতে পারবেন কার্যকর ব্যবস্থা।
প্রাথমিক পরীক্ষামূলক চিকিৎসায় যে নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন তাদের চিহ্নিত করা গেছে। ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ ইন লন্ডন এর চিকিৎসকরা এই সাফল্য দেখিয়েছেন।
এই কাজে বিজ্ঞানীরা অবশ্য প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র নিয়ে কাজ করেন এমন বিজ্ঞানীতে কম্পিউটার অ্যালগরিদমকে ভিত্তি হিসেবে ধরেছেন। এরপর টিউমার স্যাম্পল নিয়ে তার মধ্যে যেগুলোর কোষের বৈচিত্র্য বেশি সেগুলোকে চিহ্নিত করেছেন। এবং দেখেছেন, এই কোষগুলোই মরণঘাতি হয়ে ওঠে।
এভাবে প্রতিটি টিউমারকে ‘ডাইভারসিটি স্কোর’ দিয়ে তারা নির্ধারণ করে দিতে পারছেন কোনটি কতটুকু ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। এক হাজার নারীর ওপর পরিচালিত জরিপ দিয়ে তারা দেখেছেন যাদের ডাইভারসিটি স্কোর সবচেয়ে বেশি তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার যাদের মধ্যে এই স্কোর কম তাদের তুলনায় তিনভাগ বেশি।
প্লোস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে নারীদের ডাইভারসিটি স্কোর বেশি তাদের পরবর্তী ৫ বছর বেঁচে থাকার মাত্রা মাত্র ১৬ শতাংশ। অন্যক্ষেত্রে যা ৫০ শতাংশেরও বেশি।
টিউমার থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি তখনই অনেক বেড়ে যায় যখন কারো রোগটি শরীরের ভেতরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে আর নতুন নতুন টিউমার সৃষ্টি করে চলে।
আর স্তন ক্যান্সার পুরোপুরি সারিয়ে তোলা সম্ভব যদি তা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে একং সঠিকভাবে অস্ত্রপোচার করা যায়। কেমোথেরাপি দিয়েও এর নিরাময় সম্ভব।
বাংলাদেশ সময় ১৮৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
এমএমকে