শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, তাদের বেশিরভাগই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
হাসপাতালের জরিপ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ভর্তি ছাড়াও এ হাসপাতালে চলতি মাসে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি শিশুকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জরিপ শাখার পরিসংখ্যানে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৩ দিনে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্যা ১৩৫ জন, যাদের বেশিরভাগ ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়ে এসেছে। আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০৩ জন।
একে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি বলে উল্লেখ করেন হাসপাতালের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাকিম।
হাসপাতালের ভেতরে গেটের কাছে শিশু সন্তান সিমরানকে নিয়ে বসে ছিলেন তার মা শাহনাজ আক্তার সাথী। তিনি অপেক্ষা করছিলেন স্বামী সাদ্দাম হোসেনের জন্য, যিনি আসবেন ঢাকার কালীগঞ্জ থেকে।
সাথী বাংলানিউজকে বলেন, এক বছর এক মাস বয়সের সিমরান ডায়রিয়া আর বমিতে আক্রান্ত হলে ৭ দিন আগে এ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ছেলে এখন সুস্থ, তাই বাসায় যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ডাক্তার বলেছেন বাইরের খাবার খাওয়ানোর জন্য ছেলের ওই সমস্যা হয়েছিল। এখন বাইরের খাবার খাওয়াতে নিষেধ করছেন এবং বলছেন, সবজি খিচুড়ি খাওয়াতে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ প্রতীম পাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের এখানে সারা বছর প্রায় এরকম রোগীই থাকে। তবে এখন ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাটা বেশি’।
তিনি বলেন, এখন শীতের সময়, খুশখুশে কাশি, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া- এগুলোই বেশি বাড়বে। আর এখনকার ঠাণ্ডা বাতাসটা লেগে বুকে বসে যায়। অনেক সময় ঠাণ্ডা লেগে জ্বর হয়। ফুসফুসের রোগটাই শীতের সময় বেশি হয়। ঠাণ্ডার সময় অনেকের এলার্জি বা আমাশয়ও হতে পারে।
ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে শিশুদের বাঁচানোর উপায় হিসেবে তিনিবলেন, ‘অভিভাবকদের এজন্য সচেতন হতে হবে। বাচ্চাদের গায়ে যেনো ঠাণ্ডা বাতাসটা না লাগে। সেজন্য ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে, শীতের সময় বাচ্চাদের বাইরে বের না করা, গাড়িতে বেশি চলাচল না করা, চলাচল করলেও গাড়ির জানালা বন্ধ রাখতে হবে ইত্যাদি’।
‘আবহাওয়া চেঞ্জ হলে পরে আস্তে আস্তে এ সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। তবে শীতের সময় ঠাণ্ডা বাতাস থেকে শিশুদের অবশ্যই দূরে রাখতে হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমএইচকে/এএসআর