বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিশ্ব কিডনি দিবসের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আমি নিজেও কিডনির রোগী ছিলাম। এই রোগ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে থাকে।
কিডনি রোগে কষ্টে ভোগার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, কিডনি রোগ কী আমি ভাল করে জানি। মারা যাওয়ার পরে যদি আল্লাহর সাথে দেখা হয়, তাহলে বলবো মানুষকে কিডনি রোগ দিও না, এই রোগ দেওয়ার আগে তোমার কাছে ফিরিয়ে নাও।
চিকিৎসা এবং নিয়ম মেনে চলার পর সুস্থ হয়ে ফেরেন ফারুক। তিনি বলেন, আজকে আমি সুস্থ্য, আমার মনে হয় অনেক ডাক্তারের চেয়ে আমি অনেক সুস্থ্য।
সুস্থ্য থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, খাদ্যে যে বিষ হয় সেটা বর্জন করেন, মাংসে যে বিষ হয় সেটা বর্জন করেন। ভুড়ি মোটা হয়ে যায়, এজন্য অতিরিক্ত খাদ্য খাওয়া কমিয়ে দেন।
চিকিৎসক বাবার সন্তান ফারুক মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে তিনি বলেন, আমার নেতা বঙ্গবন্ধু কালচারাল মানুষদের প্রাধ্যান্য দিতেন। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ভাতে মারবো, পানিতে মারবো; আমি বলবো কিডনি রোগকে ভাতে, পানিতে মারব, এদেশে একটি মানুষও থাকবে না যার কিডনি রোগ হয়েছে। কিডনি রোগও একটি শত্রু, তার মোকাবেলা করতে হবে।
কিডনি রোগ প্রতিরোধে সরকারের আরও এগিয়ে আসা উচিত জানিয়ে ফারুক বলেন, ক্লিনিক, হাসপাতালের সংখ্যা বাড়িয়ে, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কিডনি রোগের চিকিৎসা করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর চোখ শেখ হাসিনার চোখে বসে গেছে মন্তব্য করে চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) স্বপ্ন দেখেন সোনার বাংলা গড়ার।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, ডাক্তারদেরও হাসি-কান্না, শোক-দুঃখ আছে।
‘প্রায় শুনি নার্স-ডাক্তাররা হরতাল করছেন, অধিকারের জন্য হরতাল করেন। তবে যে জায়গায় রোগী মৃত্যুশয্যায়, সেখানে কি কর্মবিরতি শোভা পায়?’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের উপস্থিতিতে ফারুকের বক্তব্যের সময় দফায় দফায় করতালিতে মাতে হলভর্তি দর্শক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম