ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস রোববার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস রোববার

ঢাকা: দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা অর্ধ কোটির বেশি। তবে মূল ধারায় সম্পৃক্ত করা গেলে প্রতিবন্ধীরাও নিজেদের অধিকার রক্ষায় সচেতন হবে এবং যোগ দেবে উৎপাদনশীল কাজে। এখন সহায়তার পাশাপাশি দরকার সামাজিক সচেতনতা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রতিবন্ধীর জীবনে বঞ্চনা ও বিচ্ছিন্নতা একটি পর্যায়ক্রমিক ধারা সৃষ্টি করে। প্রায় সব অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীতে এমনকি সরকারি-বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে অবহেলা করা হয়।

তাদের প্রতি অসম দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ প্রবল।

রোববার (২ এপ্রিল) পালিত হবে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। অটিস্টিক ব্যক্তিদের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গৃহীত নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘অটিজম’ বিষয়টি আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একটি অত্যাবশ্যকীয় ইস্যু হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা, গ্লোবাল অটিজম পাবলিক হেলথ ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা হোসেনের অবদান সবচেয়ে বেশি।

গ্লোবাল অটিজম পাবলিক হেলথ ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা হোসেন ২০১২ সালে জাতিসংঘে অটিস্টিক শিশু ও তার পরিবারের সহায়তায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তার পরিবারের জন্য আর্থ-সামাজিক সহায়তা শীর্ষক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যা সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়।

দেশে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা উপবৃত্তি, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন, ঢাকার মিরপুরে জাতীয় বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ, ৬৪ জেলায় ৬৮টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। দেশব্যাপী প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিকসহ সবক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের সমধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুত সরকার।

পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ ও বিত্তবানদের প্রতিবন্ধী এবং অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে প্রান্তিক ও বঞ্চনার শিকার প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুরা। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, অটিজম সম্পর্কে এখনও দেশের মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে অটিস্টিক শিশুদের ব্যবহারের কারণে পাগল বলা হয়। এমনকি ভুল চিকিৎসা করে অনেক শিশুকে অকালে মেরে ফেলা হয়। অটিস্টিক শিশুরা বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে খুব দক্ষ হয়। তাই এদের প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত না করে বিশেষ শিশু বলা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
এমএন/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।