বৈঠকে হামলাকারী নার্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আশ্বাসে দুপুর ১টার দিকে তারা কাজে যোগ দেন।
এদিকে বহির্বিভাগে চেম্বারগুলোর সামনে অপেক্ষমাণ রোগীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসলেও চরম ভোগান্তিতে পরেছেন দূর থেকে আসা রোগীরা।
বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. তালুকদার মোহাম্মাদ ইউনুস ও পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে চারঘণ্টা ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মেডিকেল অফিসার ও বিএমএ’র কেন্দ্রীয় সিসি সদস্য ডা. শিরিন সাবিহা তন্নি বলেন, বৈঠকে চিকিৎসকদের দারির পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বামী শাহ আলম ভূইয়ার পর এবার অভিযুক্ত নার্স এলিজার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করবে। পরিচালক ও সংসদ সদস্যের এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের কাজে ফিরে যাচ্ছি।
নার্সদের পক্ষ থেকে সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা বেগম জানান, আমাদের দাবি ছিলো নার্স নয়, তার স্বামী শাহ আলমের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার। কেননা নার্স এলিজার একটি অসুস্থ শিশু সন্তান রয়েছে। শিশুটির জন্য হলেও এলিজাকে প্রয়োজন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের এ দাবি মেনে নেয়নি। তবে এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ফের কোনো আন্দোলনে যাবো কিনা তা তৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
হাসপাতাল পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রথমে চিকিৎসক পরে নার্সদের নিয়ে পৃথক বৈঠক করে সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী আগের দায়ের করা এজাহারের কপিটি একটু সংশোধন করা হয়েছে। বৈঠক চলাকালে বহির্বিভাগের রোগীদের অসুবিধা হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
এমএস/জেডএস