জেলার জনবহুল উপজেলাটিতে দেড় লক্ষাধিক লোকের বসবাস। তাদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল।
সরেজমিনে জানা গেছে, ১৯টি পদের মধ্যে চিকিৎসক আছেন মাত্র ৫ জন। তাদের মধ্যেও আবার একজন ছুটিতে ও একজন ট্রেনিংয়ে আছেন। মেডিসিন, শিশু, গাইনি, আবাসিক চিকিৎসকসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে জনবলের সংকটও। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনসহ নানা কাজে প্রায়ই হাসপাতালের বাইরে থাকতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে।
রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, অধিকাংশ সময় হাসপাতালটি ডাক্তারশূন্য থাকে। রোগী দেখেন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা। চাপ সামলাতে গিয়ে অনেক সময় বিরক্ত হয়ে ওঠেন তারা। পাওয়া যায় না প্যাথলজি, এক্স-রে ও অন্য সরকারি সেবাসহ ডাক্তারের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রের বেশিরভাগ ওষুধও।
সরকারিভাবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও শুধু অতি সুলভ মূল্যের হিস্টাসিন, প্যারাসিটামল, স্যালাইনসহ ৩/৪ ধরনের ওষুধই পান বলেও দাবি করেছেন রোগীরা।
রোগী রোজিয়া আক্তার ও আফরোজা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘চিকিৎসা বলতে ডাক্তার দেখাতে পারাটাই। আর একটু বড় সমস্যা দেখা দিলেই ডাক্তার খাগড়াছড়িতে যেতে বলেন। হাসপাতাল থেকে ওষুধ পাওয়া যায় না, বাইরে থেকে কিনতে হয়’।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. খায়রুল আলম বলেন, প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ জন রোগী বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেন। গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় হাতেগোনা কয়েকজন চিকিৎসককে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের ভেতরের রাস্তাটি গত কয়েক বছর ধরে ভাঙা থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
তবে ওষুধের কোনো সংকট নেই বলে দাবি ডা. খায়রুলের।
সমস্যা-সংকটের কথা স্বীকার করে সেগুলোর সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. শওকত হোসেন। তিনি বলেন, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এএসআর