‘বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপ ২০১৬’-এ আতঙ্কজনক এ চিত্র উঠে এসেছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ওই জরিপ প্রকাশিত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরিপটিতে দেখা গেছে, দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ১০ লাখ সিজারিয়ান প্রসব হচ্ছে। মোট সিজারিয়ান প্রসবের ৭৯ শতাংশই বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে হয়।
জরিপে আরো বলা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মাতৃস্বাস্থ্য সেবা ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু মাতৃমৃত্যুর হার স্থিতাবস্থায় রয়েছে।
২০০১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার কমলেও ২০১০ সালের পর থেকে তা স্থিতাবস্থায় রয়েছে। গত বছর মাতৃমৃত্যুর হার ছিল প্রতি ১ লাখে ১৯৬ জন, যা ২০১০ সালের সমান।
জরিপে বলা হয়, প্রধানত প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে প্রসবের হার বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসবের হারও বেড়েছে। ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে প্রসবের হার ১১ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশে আর সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসবের হার ১১ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সিজারিয়ান প্রসবের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে ২০১০ সালের ১২ শতাংশ থেকে ২০১৬ সালে ৩১ শতাংশ হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সম্পন্ন হওয়া সকল প্রসবের ৮৩ শতাংশই সিজারিয়ান প্রসব। সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিজারিয়ান প্রসবের হার ৩৫ শতাংশ এবং এনজিও হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এ হার ৩৯ শতাংশ।
জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ তথ্যের সবকিছু সঠিক না হলেও আমাদের দ্বিমত নেই। তবে এটা সত্যি যে, মাতৃমৃত্যুর হার রোধে আমরা এখনো কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি’।
এজন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের মহাপরিচালক রওনক জাহানের সভাপতিত্বে জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসচিব ফয়েজ আহমেদ, সিরাজুল হক খান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এমএন/এএসআর