এতদিন নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মানুকা মধু বাজারের অন্যসব মধুর চেয়ে বেশি ওষুধিগুণ সম্পন্ন বলে গণ্য করা হতো। মানুকা নামক এক প্রকার ঝোপ জাতীয় উদ্ভিদের ফুল থেকে এ মধু উৎপাদন করা হয়।
গবেষকরা বলছেন, টার্কিশ মধুতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদানের পরিমাণ ও কার্যকারিতা মানুকা মধুর চেয়েও বেশি। তুরস্কের ট্র্যাবজোন শহরে অবস্থিত কারাদেনিজ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানান এ তথ্য। তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চলের উৎপাদিত মধুর উপর এ গবেষণা চালানো হয়।
গবেষকদলের সদস্য সেভগি কোলাহ বলেন, হাক্কারি প্রদেশের ফুল থেকে উৎপাদিত মধু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে এবং তা মানুকা মধুর চেয়েও অধিক কার্যকর।
এছাড়াও বিভিন্ন জাতের বাদাম ও ওক থেকে উৎপাদিত মধুতেও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়েছে।
সেভগি কোলাহ আরও বলেন, গাঢ় রঙের মধুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান বেশি থাকে এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান বেশি থাকে হালকা রঙের মধুতে। তুরস্ক উভয় প্রকার মধু উৎপাদনেই নির্ভরতার প্রমাণ দিচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মধু উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক তৃতীয়। চীন ও আর্জেন্টিনার পরেই অবস্থান করছে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এনএইচটি/এএ