রামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. আফরোজা নাজনীন অস্ত্রোপচার করবেন। বর্তমানে ওই ইউনিটেই চিকিৎসাধীন রয়েছে স্বর্ণালী।
অধ্যাপক ডা. আফরোজা নাজনীন বাংলানিউজকে বলেন, স্বর্ণালী প্লেক্সিফর্ম নিউরোফিব্রোমায় আক্রান্ত। তার পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এজন্য দীর্ঘ অস্ত্রোপচারে যেতে হবে তাকে। প্রথম দফার অস্ত্রোপচারের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিকিরণ, স্নায়বিক ও অন্যান্য ক্লিনিক্যাল ঘাটতি থেকে এ রোগ হতে পারে। যদি শরীরের কিছু নির্দিষ্ট স্থান আক্রান্ত হয় তবে প্লেক্সিফর্ম নিউরোফিব্রামাসগুলো ক্লিনিক্যাল জটিল জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি করে। প্রায় ১০ শতাংশ প্লেক্সিফর্ম নিউরোফিবরাম একটি ম্যালিগ্যানেন্ট পেরিফারাল স্নায়ুকে টিউমারে (এমপিএনএসটি) রূপান্তরিত করে।
স্বর্ণালীর চিকিৎসা তত্ত্বাবধানকারী রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. সঞ্জিত কুমার সাহা জানান, তার চিকিৎসার দায়িত্ব এখন রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তবে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের তেঘাটা গ্রামের আবদুল মান্নান-রুমা বেগম দম্পতির মেয়ে স্বর্ণালীর ডান হাতে দেখা দিয়েছে এ বিরল রোগ।
সে স্থানীয় নোনামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। টাকার অভাবে এতোদিন তার চিকিৎসা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন স্বর্ণালীর বাবা দুর্গাপুরের দাওকান্দি কলেজের অফিস সহকারী মান্নান ও মা গৃহিণী রুমা। তাদের বড় ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছে।
স্বর্ণালীকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন সিভিল সার্জন।
তার উদ্যোগেই গত ০৭ নভেম্বর রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয় স্বর্ণালীকে। প্রথমে মেডিসিন ইউনিট-২ এ ভর্তি করে তার চিকিৎসা শুরু হয়। পরে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার রোগটি শনাক্ত করেন এবং এ হাসপাতালে রেখেই অস্ত্রোপচার ও উন্নত চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এসএস/এএসআর