তার মতে, এ হার কমার পেছনে পরিবার-পরিকল্পনা কর্মসূচির অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ। বর্তমানে দক্ষ সেবা দানকারীর সহায়তায় প্রায় ৫০ শতাংশ প্রসব হচ্ছে।
‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ এর কর্মসূচি জানাতে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ‘পরিকল্পিত পরিবার গড়ি, মাতৃমৃত্যু রোধ করি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে ০৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এ সপ্তাহ উদ্যাপিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে পরিকল্পিত পরিবার গড়তে হলে প্রথমে বাল্যবিবাহ কমাতে হবে, যা বাংলাদেশে আছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে, বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা, যদিও এটি অনেক রয়েছে। দ্বিতীয়ত, গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। এখনও প্রায় ১৮ শতাংশ মা অপুষ্টিতে ভোগেন, ফলে খর্বাকায় শিশুর জন্ম হচ্ছে’।
‘আমরা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করেছি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও কাজ করছে সরকার। ২০২২ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ১০৫ এ (প্রতি লাখ জীবিত জন্মে) কমিয়ে আনতে ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’ পরিচালিত হচ্ছে। এসডিজি অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০-এ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি’।
জাহিদ মালেক স্বপন জানান, জনগণের প্রত্যাশা অনুসারে সেবা দেওয়া, সেবা নিতে উদ্ধুদ্ধ করা এবং প্রত্যেক কর্মীকে সেবা দিতে আরও উৎসাহিত করতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর প্রতি বছর সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদ্যাপন করে থাকে।
এবারের প্রতিপাদ্যের ওপর মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের দুই মহাপরিচালকের যৌথ স্বাক্ষরে নির্দেশনামূলক চিঠি মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে, যেন দুই বিভাগের মাঠকর্মীরা একযোগে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হন।
তিনি জানান, সেবা সপ্তাহের প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি সেবা কেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনার বিশেষ ক্যাম্পে গর্ভবতী মায়েদের চেকআপ ও ডেলিভারি সেবা দেওয়া হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহও ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফয়েজ আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এসকে/এএসআর