ডিসেম্বরের শেষ থেকেই জাঁকিয়ে শীত পড়তে থাকে। তবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাতে তীব্রতা বেড়ে যায় শীতের।
যার মধ্যে হাসপাতালের বেডে ভর্তি হয়েছেন ৫০৩ জন। ১০ জানুয়ারি বর্হিবিভাগের ৮৭৩ জনের মধ্যে ৫০৯ জনকে ভর্তি হতে হয়েছে। এছাড়াও ১১ জানুয়ারি ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন এবং ১২ জানুয়ারি ৪৮২ জন। এর মধ্যে ১৪৫ জন শিশুরই সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ৯ জানুয়ারি ১৩ জন, ১০ জানুয়ারি ৬ জন এবং ১১ জানুয়ারি ৭ জন শিশু ভর্তি হয়েছে।
হাসপাতালের রেকর্ড থেকে জানা যায়, গত ১২ দিনে শুধু ৭৫ জন শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালেও হাসপাতালের বর্হিবিভাগে অভিভাবকসহ শিশু রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ঢাকার মিরপুর থেকে ৩ বছরের রাইয়ান আহমেদকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন বাবা সাইফুল আলম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত দুইদিন ধরে জ্বর আর ঠাণ্ডা। জ্বর ১০০ এর ওপর। কমছিলো না। তাই হাসপাতালে নিয়ে এলাম। চিকিৎসক দেখে বললেন, ঠাণ্ডা থেকে জ্বর আর কাশি হয়েছে। ভয়ের কিছু নেই। ওষুধ দিয়েছেন।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও সহকারী অধ্যাপক ডা. রিজওয়ানুল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ঠাণ্ডা-কাশি-জ্বর বাড়ছে। যেটা রুপ নিচ্ছে নিউমোনিয়ায়। তবে বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে শিশুর ঠাণ্ডা যেন শ্বাস কষ্টে রুপ না নেয়।
তিনি বলেন, ঠাণ্ডার প্রকোপ বাড়ছে। সাধারণ সময়ে যেখানে তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ রোগী আসেন বর্হিবিভাগে, এখন সেটা প্রায় ৯০০।
এই শীতে শিশুদের উষ্ণ আরামদায়ক কাপড় পড়তে দিতে হবে। সবসময় পানি গরম করে খাওয়াতে হবে এবং ব্যবহারের পানিও গরম করে দিতে হবে। এসময় অল্প মধু এবং তুলসী পাতা খেলে ভালো। তবে অতিরিক্ত গরম কাপড়ের কারণে শিশুর শরীর যেন ঘামিয়ে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে বলে পরামর্শ দেন
তবে ২ বছরের নিচে বাচ্চাদের অন্যান্য খাবারের সঙ্গে বুকের দুধ খেতে দিতে হবে। আর বড় বাচ্চারা (২ বছরের উপরে) রাস্তায় যেন ধুলাবালিতে খেলা না করে, বাইরে যেন মাস্ক ব্যবহার করে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এছাড়াও রঙিন শবজি ও ফল খেতে হবে।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের লক্ষণ হিসেবে তিনি বলেন, শিশুর প্রচণ্ড জ্বর আসবে। কাশি হবে। খেতে চাইবে না। মিনিটে ৬০ বারের বেশি শ্বাস নেওয়া বা বুকের দুই পাশের পাঁজর নেমে যাওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
এমএন/জেডএস