এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রাঙ্গণে নোটিশবোর্ড কিংবা বর্হিবিভাগেও কোনো নোটিশ দেখা যায়নি।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাবার সঙ্গে সাড়ে পাঁচ বছরের এক শিশু দাঁতের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসে। তারা বর্হিবিভাগের চিকিৎসায় টিকিট পেতে লাইনেও দাঁড়ান। বেশ কিছু সময় পার করে কাউন্টারে পৌঁছে টিকিট চাইলে তাদের দেওয়া হয়নি। কেনো দেওয়া হচ্ছে না? তা জানতে চাইলে কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সেলিম বাংলানিউজকে জানান, টিকিট নিতে হলে বাবার সঙ্গে নয়, আসতে হবে মায়ের সঙ্গে।
টিকিট না পেয়ে ওই অভিভাবক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসনকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি জরুরি বিভাগ থেকে টিকিট নিয়ে শিশুর চিকিৎসা ব্যবস্থা করেন। এভাবে চলছে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগের চিকিৎসা সেবা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা সেলিম পাঁচ টাকার টিকিট রোগীদের অসহায়ত্বে সুযোগ নিয়ে ৫০টায় বিক্রি করেন। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ৫ টাকার টিকিট ৫০!নানা অজুহাতে এবং মনগড়া নিয়ম করে রোগীদের কাছ বেশি দামে টিকিট বিক্রি করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে শত শত।
হাসপাতালের বর্হিবিভাগ থেকে টিকিট নিতে আসা বেশ কয়েকজন গৃহবধূর অভিযোগ তারা পাঁচ টাকার টিকিট ৫০ টাকায় কিনেছেন। অনেকেই মনে করছেন বাবার সঙ্গে আসা শিশুদের জন্য টিকিট বিক্রি না করার কারণ বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা অভিযুক্ত সেলিম এ ব্যাপরে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ বলেন, চিকিৎসা নিতে মায়ের সঙ্গে আসতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
এসআর/এএটি