শনিবার (২৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের ‘বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস-২০১৮- উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বিশ্বস আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, যক্ষ্মা একটি নিরাময় যোগ্য রোগ।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডা. বিশ্বস বলেন, বর্তমানে প্রতিবছর যতো লোক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের প্রায় ৪০ শতাংশের রোগ নির্ণয় হচ্ছে না। ফলে এরা চিকিৎসা সেবার বাহিরে থাকছেন। ফলে দিনে প্রতি লাখে বাংলাদেশে ৪০ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন।
সাংঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু রায়হান বলেন, যক্ষ্মর বিরুদ্ধে লড়তে হলে কোনো রোগীকে চিকিৎসার আওতার বাহিরে রাখা যাবে না। যারা এখনো চিকিৎসার বাইরে আছেন তাদের খুঁজে বরে করতে হবে। বের করে চিকিৎসা দিয়ে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যু শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি এই রোগের কারণে ভোগান্তি এবং কুসংস্কার থেকে দেশের সাধারণ মানুষদের মুক্তি দিবে হবে।
এছাড়াও ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বকে যক্ষ্ম মুক্ত করার সাহসী অভিযানকে বেগবান করতে হবে বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে যক্ষ্মা বিশ্লেষকরা আলোচনা এই রোগ নিরাময় নিয়ে আলোচনা করেন।
যক্ষ্মা বা টিবি একটি বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ। মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামের একটি জীবাণু এ রোগের জন্য দায়ী। এ জীবাণু মূলত ফুসফুসকে আক্রমণ করে। কফ, হাঁচি, কাশি ও কথা বলার মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণু এটি একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
এমএফআই/জিপি