ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কণ্ঠের সুরক্ষায় কণ্ঠের ওপর চাপ পরিহার জরুরি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
কণ্ঠের সুরক্ষায় কণ্ঠের ওপর চাপ পরিহার জরুরি বিশ্ব কণ্ঠ দিবসের র‌্যালি

ঢাকা: কণ্ঠস্বর সুরক্ষায় দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস।

‘মেক দি ভয়েস, টু চেরিশ ইওর ভয়েস’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ফোনোসার্জন্স অব বাংলাদেশ নামে সংগঠনের আয়োজনে সোমবার (১৬ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক র‌্যালি ও সেমিনারের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি ও বিএসএমএমইউ-এর নাক, কান ও গলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার বলেন, স্বরের সুরক্ষায় গলা ঝেড়ে বা উচ্চ চাপে পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকা, যতটা সম্ভব কাশি দেওয়া এড়িয়ে চলা, নিচু স্বরে স্পষ্ট করে কথা বলা, চিৎকার বা উচ্চ স্বরে বা ফিস ফিস করে কথা বলা এড়িয়ে চলা, রেডিও বা টেলিভিশন দেখবার ও শোনবার সময় কম ভলিউমে শুনা, মিউজিক কনসার্টে উপস্থিতির সময় কানে ইয়ার প্লাগ বা তুলা ব্যবহার করা, ব্যায়ামের সময় বিশেষ করে ভারোত্তোলন কিংবা এ জাতীয় ব্যায়ামের ক্ষেত্রে  ঘরে বায়ু চলাচলের স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখা, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করা, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা যাতে স্বরযন্ত্রে পানিশূন্যতা দেখা না দেয় (দৈনিক কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা), ধূমপান হতে নিজেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখা এবং ধোঁয়ার পরিবেশ থেকে দূরে থাকাটা জরুরি।

 

তিনি বলেন, হঠাৎ করে যদি স্বরের পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তাহলে দ্রুত নাক-কান-গলা চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ। এরপরও যদি লক্ষ্য করেন ধীরে ধীরে স্বর পরিবর্তন হচ্ছে কিন্তু দুই সপ্তাহের মধ্যে কণ্ঠস্বর উন্নত হচ্ছে না তাহলে তাড়াতাড়ি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।  

তিনি আরও বলেন, যদি কথা বলতে গিয়ে বা গান করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন স্বর কর্কশ রূপ ধারণ করেছে বা অসুবিধা হচ্ছে তাহলে সাথে সাথে কথা বলা অন্তত ৭ দিনের জন্য বন্ধ রাখা, রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা পূর্বে আহার শেষ করা এবং ভাজা-পোড়া, তেল-ঝাল যুক্ত খাবার যথা সম্ভব পরিহার করে চলা উচিত।

ডা. কামরুল হাসান তরফদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আকতার রহমান, বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন প্রমুখ।

সেমিনারে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তারদের জন্য বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধও উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।