ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মা-শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় ‘মা-মণি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
মা-শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় ‘মা-মণি’ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশব্যাপী গর্ভবতী মা, নবজাতক ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে ‘মা-মণি’ স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করবে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)।

দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে পাঁচ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের আওতায় পরিবার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে গর্ভবতী মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা এবং উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দিনব্যাপী বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও আলোচনা সভার মাধ্যমে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়।

ইউএসএআইডি সূত্রে জানা যায়, ‘মা-মণি’ প্রকল্পটি এর আগে  পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ছয়টি জেলায় সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জেলাগুলো হলো- হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ঝালকাঠি, পিরোজপুর এবং ভোলা।  

এই প্রকল্পের আওতা সরকারের বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তাসহ দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কাজে অবদান রেখেছে ইউএসএআইডি। যেমন- নবজাতকের শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যার উন্নত সমাধান, নবজাতকে নাড়িজনিত সমস্যায় সাত দশমিক এক শতাংশকে ক্লোরোহেক্সিডাইন প্রদান, নবজাতকের সুরক্ষা ও প্রাথমিক যত্ন সেবা, ক্যাঙ্গারো মাদার কেয়ার প্রভৃতি।  

স্বাস্থ্য অধিদফতর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের লক্ষ্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেনো সেবার মান উন্নত হয়। এজন্য ‘মা-মণি’ প্রকল্পটি জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করবে।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ইউএসএআইডি’র এ দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পের জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশ স্বাস্থখাতেও ব্যাপক উন্নতি অর্জন করেছে। নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ হাসপাতালে আসন বৃদ্ধি পেয়েছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারী নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, স্পেশালাইজড হাসপাতালসহ জেনারেল হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তিন হাজার মিডওয়াইফ নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের আদেশ দিয়েছেন।  

তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ভালো হাসপাতালের পাশাপাশি দক্ষ জনবল প্রয়োজন। তাই আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্ল্যানিং উইংয়ের জয়েন চিফ ডা. এ ই এম মহিউদ্দিন ওসমানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের প্ল্যানিং উইংয়ের ডেপুটি চিফ আব্দুস আলাম খান, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক রওনক জাহান, সেভ দ্যা চিলড্রেন ইউএস’র বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিসিয়া ডালি, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার, মা-মণি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জোভি জর্জ প্রমুখ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এমএএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।