আইরিশ কোম্পানি এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) আপিল বিভাগ 'নো অর্ডার' আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। অপারেশনে যে কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে সেই কোম্পানির (আইরিশ) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।
গত ২১ অক্টোবর ১৭ জনকে ১০ লাখ টাকা করে দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আইরিশ কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এ আদেশের পর আইরিশ কোম্পানি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক ১৩ নভেম্বর ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেন। ্
এর আগে হাইকোর্টের রায়ের পরে অমিত দাসগুপ্ত বলেছিলেন, রায়ে ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া এ বিষয়ে প্রত্যেকের সারা জীবনের চিকিৎসার ব্যয়ভার ইমপ্যাক্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের হাসপাতালে অথবা ভালো চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে বহন করবে।
ওই ১৭ জনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি ওষুধ সরবরাহ করেছিলি আইরিশ কোম্পানি। ওই ওষুধের কোনো রেজিস্ট্রেশন ছিল না। এজন্য আইরিশ কোম্পানিকেও পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দেশে মেডিকেল নেগলেজেন্সির বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত আইন নেই, পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। যে কমিটির প্রধান হবেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারি। ওই কমিটি ভবিষ্যতে মেডিকেল নেগলেজেন্সি ঘটলে সেটি দেখবে এবং ক্ষতিপূরণের হার নির্ধারণ করবেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন’! শিরোনামে ২৯ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত।
এ রিটের পর ১ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই দিন অমিত দাসগুপ্ত জানান, ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গার ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে তিনদিনের চক্ষু শিবিরে চক্ষু চিকিৎসায় ২০ জনের চোখ অস্ত্রোপচারে কার্যকর, যথাযথ ও পর্যাপ্ত নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ জনের প্রত্যেককে কেন এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, প্রয়োজনীয় নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দায়সারাভাবে চক্ষু অপারেশন করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এ রুল শুনানির একপর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জনকে তলবও করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
ইএস/এসআই