রোববার (১৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি কর্মসূচি আয়োজিত এক অ্যাডভোকেসি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। মহাখালীতে অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনের ৫ম তলায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঝুকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো—বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজার।
অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিবি-ল্যাপ্রোসি এবং এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টার অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম, পরিচালক ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, কর্মসূচির সিনিয়র ম্যানেজার আক্তারুজ্জামান মণ্ডল, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ প্রমুখ।
এ সময় অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম জানান, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে হবে। তবে এইডস নির্মূল মানে বার্ষিক এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ জনে নামিয়ে আনা। সর্বশেষ হিসেবে ২০১৭ সালে সারাদেশে ৮৬৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, একটা সময় ধারণা ছিল এইডস মানে নিশ্চিত মৃত্যু। তবে বর্তমানে এইডস মানে নিয়ম মেনে চল্লে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা সম্ভব।
অ্যাডভোকেসি সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয়। ইউএনএইডস’র হিসেবে অনুযায়ী বর্তমানে দেশে সম্ভাব্য রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। ইতিমধ্যে যেসব রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের ৩১ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অভিবাসী শ্রমিক।
এ পর্যন্ত মোট এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৫৮৬ জন এবং এর মধ্যে ৯২৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। চিহ্নিত আক্রান্ত রোগীদের পেছনে প্রতি মাসে ওষুধ বাবদ সরকারের ব্যয় হয় ৭ থেকে ১৪ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ