ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফল বাতিল হচ্ছে না, দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
ফল বাতিল হচ্ছে না, দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত সংবাদ সম্মেলন, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার (ডেন্টাল সার্জারি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল বাতিলের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, এই পরীক্ষা নতুন করে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দ্রুত এ নিয়োগ সম্পন্নের জন্য মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের মোড়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. কনক বড়ুয়া বলেন, মঙ্গলবার (১২ জুন) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে মৌখিক পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিলো।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা আবারও শুরু হবে।

নিয়োগের জন্য নেওয়া লিখিত পরীক্ষার ফল বাতিলের কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য।

উপাচার্য বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার্থীদের বয়স নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন তা সত্য নয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বয়স সীমা অতিক্রম করেছে এমন দু’জনকে আবেদন করতে দেখেছি আমরা। একজনকে প্রাথমিক বাছাই সময় বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তিনি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। বিদ্যুৎ নামে আরেকজন তার বয়স গোপন করে আবেদন করেছিলেন। লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার পর তাদের বয়সের বিষয়টি আমাদের নজরে আসে, আমরা তার পরীক্ষা বাতিল করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

লিখিত পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র খোলা হয়েছে, শিক্ষার্থীকে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্য বলেন, পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র খোলার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মডারেটররা অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে সবকিছু সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া এই প্রক্রিয়ায় কোনো পর্যায়ে উপাচার্য সম্পৃক্ত ছিলেন না। শুধু উপাচার্য নয়, যেসব শিক্ষকের ছেলেমেয়ে পরীক্ষার্থী তাদের এসবের (প্রশ্নপত্র)  আশপাশেই রাখা হয়নি।

তিনি আরও উপাচার্য বলেন, সার্বিক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। ফলাফল ঘোষণার আগেই ফলাফল ফাঁস হয়ে গেছে এমন অভিযোগের কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

পরীক্ষায় মোবাইলসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের বিধান ছিলো না এবং ডিভাইস ব্যবহারের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। ফলাফল প্রকাশের পর কিছু অকৃতকার্য শিক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অযৌক্তিক দাবি তুলে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়েছেন যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ফলাফল বাতিল করে পরীক্ষা গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।

মৌখিক পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিতের বিষয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি (ভিসি কার্যালয়ে ভাঙচুর) সৃষ্টি হয়েছিলো। সেসময় মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে আমরা পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এজেডএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।