ঢাকা, শনিবার, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চালু হলো শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৯
চালু হলো শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট

ঢাকা: চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে চালু হলো বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ইনস্টিটিউট ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় ১৮ তলা বিশিষ্ট এই বিশেষায়িত ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক দেওয়ার মাধ্যমে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।  

এরপর হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম ও বিভিন্ন বিভাগগুলো পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরিদর্শন শেষে একটি উদ্বোধনী আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। আলোচনায় দেশের মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

উদ্বোধনকালে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ এ রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এ ইনস্টিটিউটে রয়েছে প্লাস্টিক সার্জারির সব ধরনের বিশেষায়িত শাখা। যার মাধ্যমে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির সব চিকিৎসাসেবা ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমেই দেওয়া সম্ভব হবে। এ ইনস্টিটিউটে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্কিন ব্যাংক সুবিধা চালু করা হবে। এছাড়া বার্ন ও বার্ন পরবর্তী শারীরিক অক্ষমতার সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবাগুলোও দেওয়া সম্ভব হবে এ ইনস্টিটিউটেই।  

অন্যদিকে দেশের প্রথম স্বতন্ত্র কম্প্রিহেনসিভ ক্লেফট ও ক্রেনিওফেসিয়াল সেন্টার রয়েছে এ ইনস্টিটিউটে। যেখানে ঠোঁট কাটা ও তালু ফাটা রোগীদের সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হওয়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পুনঃস্থাপনের জন্য রয়েছে স্বয়ংসম্পূর্ণ মাইক্রো সার্জারি ইউনিট। এছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা ও পরবর্তী রিকনস্ট্রাকশন এবং ব্রেস্টের নানা ধরনের জটিলতা সমাধানে এ ইনস্টিটিউটে রয়েছে দেশের প্রথম ও স্বয়ংসম্পূর্ণ কম্প্রিহেনসিভ ব্রেস্ট সার্জারি বিভাগ।  

এছাড়া এ ইনস্টিটিউটে আরও রয়েছে- সরকারি পর্যায়ে দেশের প্রথম সর্বাধুনিক অ্যাসথেটিক সার্জারি সেন্টার। যেখানে দেওয়া হবে- লেজার, লাইপোসাকশন, হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ও অ্যান্ডোস্কোপিক অ্যাস্থেটিকসহ এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও রেডিওলজি সেবা।  

অন্যদিকে প্লাস্টিক সার্জারিতে দক্ষ চিকিৎসক তৈরিতে এ ইনস্টিটিউটে রয়েছে এফসিপিএস, এমএস কোর্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল প্ৰশিক্ষণ সুবিধা।  

এ ইনস্টিটিউটের ভবনটি তিনটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো- ইস্ট ব্লক: বার্ন কেয়ার, সেন্ট্রাল ব্লক: অ্যাকাডেমিক ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এবং ওয়েস্ট ব্লক: প্লাস্টিক সার্জারি কেয়ার। এ তিন ভাগে রয়েছে তিনটি বেজমেন্ট, যেখানে একসঙ্গে ২৫০টি গাড়ি পার্কিং করা যাবে। ভবনের ছাদে রয়েছে হেলিপ্যাড সুবিধা। আরও রয়েছে- ১০টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ৩৫০ আসন বিশিষ্ট মিলনায়তন, লাইব্রেরি, মাল্টি পারপাস কনফারেন্স হল, ১৬টি লিফট এবং ২টি অ্যাসক্যালেটর।

আনুষ্ঠানিকভাবে এদিন হাসপাতালের উদ্বোধন হলেও আরও তিন দিন আগেই পরীক্ষামূলকভাবে এখানকার সেবা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯/আপডেট: ১৫২০
এমএএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।