বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে রাজধানীর মাত্র ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ৮৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। কিছুদিন আগেও এই সংখ্যা পাঁচ হাজারের ঘরে ছিল।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১ হাজার ১৫৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৯৯ জন। অর্থাৎ, এই সময়ে রোগী কমেছে ১৪২ জন।
হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭ হাজার ২২১ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৬১ হাজার ৮২২ জন। অর্থাৎ, আক্রান্তদের ৯১ শতাংশ রোগীই ছাড়পত্র পেয়েছেন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ১৭৭টি মৃত রোগীর তথ্য এসেছে। এরমধ্যে ৮৮টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ৫২টি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। এ সংখ্যা এখনও সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগী বিষয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেবরিনা ফ্লোরা বাংলানিউজকে বলেন, এবার ঢাকার বাইরেও আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা উদ্বেগজনক নয়। এখন পর্যন্ত আমরা যত ডেঙ্গুরোগী পেয়েছি, সেসব রোগী ঢাকা থেকেই আক্রান্ত হয়ে সেখানে গিয়েছে। তাছাড়া ঈদের সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত যারা বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারা ঢাকায় ফিরতে না পেরে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এমএএম/এএ