ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশের ৩৫ ঊর্ধ্ব ১১.৪ শতাংশ মানুষ সিওপিডিতে আক্রান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
দেশের ৩৫ ঊর্ধ্ব ১১.৪ শতাংশ মানুষ সিওপিডিতে আক্রান্ত

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বক্ষব্যাধি বিভাগ পরিচালিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশের ৩৫ ঊর্ধ্ব জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ সিওপিডি (ফুসফুস জনিত) রোগে আক্রান্ত।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি) বিভাগের উদ্যোগে শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ বিশ্ব সিওপিডি দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এবারে দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- সম্মিলিত প্রয়াস, সিওপিডি বিনাশ।

বক্তারা বলেন, সিওপিডি রোগ প্রতিরোধে তামাকের চাষ ও উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। সিগারেট ও তামাক কোম্পানিগুলো বন্ধ হলে হ্রাস পাবে সিওপিডিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যখাতের ব্যয়ও অনেকটাই কমে আসবে। কারণ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কারণে শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সারসহ মানুষ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ধূমপান পরিহার ও পরিবেশ দূষণ রোধের মাধ্যমে সিওপিডি রোগ প্রতিরোধ করা যায়। বর্তমানে মহিলা ধূমপায়ীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটাও প্রতিরোধ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, সিওপিডি রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ধূমপান নিরাময় কেন্দ্র, এনসিডি (নন কমিউনিকেবল ডিজিজেস) কর্নার, পালমোনারি রিহ্যাবিলেটশন সেন্টার (ফুসফুসের রোগীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র), রেসপিরেটরি আইসিইউ, রেসপিরেটরি ইমাজেন্সি প্রতিষ্ঠা জরুরি। সিওপিডি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এই রোগটি প্রতিরোধে গ্রামগঞ্জে পরিবেশবান্ধব চুলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান বিশ্বে সিওপিডি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮ ভাগ। বাংলাদেশে এ সংখ্যা প্রায় ১০ ভাগ। যারা ধূমপান করে তাদের মধ্যে এই সংখ্যা ১২ ভাগ। আর অধূমপায়ীদের মধ্যে এই সংখ্যা ৩ ভাগ।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পৃথিবীতে সিওপিডি রোগীর সংখ্যা ৮০ মিলিয়ন। ২০০৫ সালে তিন মিলিয়ন লোক এই রোগে মারা গেছেন। ২০০২ সালে সিওপিডি রোগ মৃত্যুর ৫ম কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। নিকট ভবিষ্যতে এটি ৩য় মৃত্যুর কারণ হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, হাসপাতাল পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক, বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশরারফ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এমএএম/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।