ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিএমডিসির অনুমোদন না মেলায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
বিএমডিসির অনুমোদন না মেলায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন 

রাজশাহী: বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন না পাওয়ায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী।

তাই রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, সাত বছর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ধারাবাহিক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।

অথচ এখন পর্যন্ত বিএমডিসি’র অনুমোদন মেলেনি। তাদের দাবি অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত ভর্তি বন্ধ ও তাদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এতে তাদের শিক্ষাজীবন চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। গত বছরের মার্চে কলেজের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত বছর মাত্র চারজন এমবিবিএস পাস করেন। কিন্তু এমবিবিএস পাস করেও কলেজটির বিএমডিসি’র অনুমোদন না থাকায় ওই শিক্ষার্থীরা এক বছর ধরে ইন্টার্নশিপ করতে পারছেন না। এতে করে তারা প্র্যাক্টিস করারও অনুমতি পাচ্ছেন না। এমনকি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসকও হতে পারছেন না। ওই চার শিক্ষার্থী হলেন মামুনুর রশিদ, রুমা খাতুন, জিন্নাহ ও মৌ খাতুন।

তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম স্বাধীনের দাবি বিএমডিসির অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা পরিদর্শনও করেছে। কিছু শর্ত দিয়েছে। সেগুলো পূরণেরও চেষ্টা চলছে। তাই শিগগিরই তারা অনুমতি পেয়ে যাবেন। তবে কিছু শিক্ষার্থী হয়তো কারও দ্বারা প্ররোচণায় আন্দোলন করছে। এক দিক থেকে তাদের দাবিও ন্যায্য। এর পরও ক্যাম্পাসের স্বার্থে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি থেকে সরে আসার জন্য তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে, শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এর আগে ২০১৪ সালেও বেসরকারি এ মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ উঠে। অনুমতি না থাকার পরও ওই সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।  

এরপর ২০১৫-১৬ সেশনে অনুমতি ছাড়া ফের ৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা আবারও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করে দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কারণ এ মেডিক্যাল কলেজটি ওই সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। এর পরও তারা ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করেনি। বর্তমানে তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২০০ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।