শুক্রবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পয়েন্ট ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খুমেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় খুলনায় এসেছিলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুর দেড়টায় খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত মোস্তাহিদুর মারা যান। তার বাড়ি মহানগরীর হেলাতলা এলাকায়।
মৃত ওই রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে ৯০ শতাংশ সন্দেহ পোষণ করেছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ।
তিনি তখন বলেছিলেন, ওই রোগীর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী তথ্য নেন। এই হাসপাতালে আসার আগে ওই রোগী ঢাকার মডার্ন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। একই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত একজন রোগী মারা গিয়েছিল। কিন্তু ওই রোগী এখানে ভর্তির সময় সেই তথ্য গোপন করেন। তা না হলে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হত।
ডা. মোর্শেদ জানান, ওই রোগীকে মডার্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছিল। কিন্তু তিনি তা মানেননি এবং তথ্য গোপন করে এখানে ভর্তি হন। তার কারণে ঝুঁকি বেড়ে গেলো। ওই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া ১৫/২০ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, করোনায় আক্রান্ত সন্দেভাজনের মৃত্যুর খবর ছড়ি পড়লে খুমেক হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যা পুরো শহরে বিস্তার লাভ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
এমআরএম/এএটি