শনিবার (৪ এপ্রিল) যেখানে ১৩ জনকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছিল। রোববার (৫ এপ্রিল) হঠাৎ ২৮২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে আনতে হলো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে আনাদের মধ্যে বেশিরভাগ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও রাজনগরে এবং সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে। তাদের মধ্যে প্রবাসী নেই। বিষয়টি ভয়ের কারণ হিসেবে দেখলেও অনেকে মৌসুমী জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় তাদের কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে বলেন তিনি।
এছাড়া শ্রীমঙ্গলে করোনা সন্দেহে মারা যাওয়া এক নারীর সংস্পর্শে থাকা ১৪ বছরের এক শিশুকেও হাসপাতাল কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত সিলেট শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল আইসোলেশনে আছেন দুই নারীসহ ৩ জন এবং সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে আছেন একজন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে রাখাদের মধ্যে সিলেটে ২ জন, সুনামগঞ্জে ৭৭ জন, মৌলভীবাজারে ২০৩ জন রয়েছেন। হবিগঞ্জে নতুন করে কাউকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ১১৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সিলেটে ৩০ জন, সুনামগঞ্জে ৩৩ জন, হবিগঞ্জে ২৯ জন ও মৌলভীবাজারের ২১ জন। গত ১০ মার্চ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ২ হাজার ৭৫০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরমধ্যে সিলেটে ৭৫৫, সুনামগঞ্জে ৫৫৭, হবিগঞ্জে ৮৩২ ও মৌলভীবাজারে ৬০৬ জন।
আর এ পর্যন্ত মোট হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৫৮ জন। ইতোমধ্যে সিলেটে ১৭৩, সুনামগঞ্জে ১৫৬, হবিগঞ্জে ৭২ ও মৌলভীবাজারে ২৫৭ জন। এছাড়া করোনা সন্দেহে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসাপাতাল ও বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল আইসোলেশনে ২৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় করোনা না আসায় তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এনইউ/এএটি