বুধবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ- ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে শুরুর ৪৬ দিন পর যখন লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, তখন আমাদের দেশে মোট আক্রান্ত তিন হাজার ৭৭২ জন।
তিনি বলেন, চিকিৎসক, নার্সদের জীবন বাজি রেখে লড়াই করা, স্বাস্থ্য খাতের যথাসময়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ আর একইসঙ্গে দেশের মানুষের সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে আত্ম সচেতনতা বাড়ানোর ফলেই দেশে করোনা এখনও মহাবিপর্যয়ে পৌঁছেনি। দেশের এই বর্তমান চিত্রটি আর কিছুদিন ধরে রাখা গেলেই করোনা মহামারিকে ভালোভাবেই রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।
বর্তমানে কোনো ধরনের সমালোচনায় হতাশ না হয়ে করোনার এই দুর্যোগের সময়ে স্বাস্থ্য খাতের সবাইকে জনগণের পাশে থেকে নিরলস কাজ করে যেতে হবে জানিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত জেলার সিভিল সার্জনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করার কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এ মুহূর্তে সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।
পরে পুষ্টি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২০ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
পিএস/টিএ