ঢাকা: করোনার ২য় ঢেউ মোকাবিলার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাধারণ রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে গেছে। জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না।
করোনার শুরুতে সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন হাসপাতালের নতুন ভবন ও বার্ন ইউনিটকে করোনা ইউনিট ঘোষণা করেন। সেখানেই ভর্তি করা হচ্ছে করোনা রোগীদের। আর পুরাতন ভবনে জরুরি বিভাগসহ সার্জারি, গাইনি, শিশুসহ অন্য বিভাগগুলো চালু আছে। তবে এসব ওয়ার্ডগুলোতে গুরুত্ব বুঝে রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে পুরাতন ভবনের কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় রোগীর স্বল্পতা। ওয়ার্ডগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, একদিকে রোগী থাকলেও অন্যদিকে বেড খালি। অথচ কিছু দিন আগেও রোগীরা বেড না পেয়ে মেঝে অথবা সিঁড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঢামেকের এক কর্মকর্তা জানান, মার্চে দেশে করোনা আসার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তখন সাধারণ রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। এর কয়েক মাস পরে করোনা রোগীর সংখ্যা কমতে থাকলে সাধারণ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু শীতে আবারও করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ রোগীর সংখ্যা কমে গেছে।
তিনি আরও জানান, করোনার ২য় ঢেউ মোকাবিলার জন্য সাধারণ রোগীদের পরিস্থিতি বুঝে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের এক স্টুয়ার্ট জানান, করোনার আগে কখনো কখনো প্রায় ৪ হাজার রোগীর রান্না হতো। আর এখন আনুমানিক ২২’শ রোগীর রান্না হচ্ছে।
ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.আল্লাউদ্দিন আল আজাদ জানান, করোনা রোগীর পাশাপাশি আমরা সব রোগীদের ভর্তি নিচ্ছি। তবে মেডিসিন কিছু রোগীদের বর্হিবিভাগের ৩য় তলায় ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।
বেড খালি থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শীতকালে এমনিতে রোগীর সংখ্যা কম থাকে। এ কারণে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কিছু বেড খালি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২০
এজেডএস/এমআরএ