জামালপুর: ২৫০ শয্যা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে হামলা, ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের নির্যাতনের ঘটনায় তিন দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে টানা তিন দিনে গড়ালো ধর্মঘট।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলার কথা থাকলে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বিএমএ’র উদ্যোগে সকাল থেকে জেলার সব সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, চিকিৎসাধীন রোগী ও করোনা রোগীর সেবা ব্যতীত সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে জেলার সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও সেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা।
জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে ধর্মঘট চলছে।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদনের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে চিকিৎসকরা। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, চিকিৎসাধীন রোগী ও করোনা রোগীর সেবা চলছে। রোববার বিকেল থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
গত শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে একজন নারী রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনের সঙ্গে চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষ, হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, হামলার ঘটনায় জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ গত শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সাইদুর ও শাহিদুর নামে দু’জন হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০২০
আরবি