ঢাকা: পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক মেডিসিন রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি আছে শিশু রোগীর সংখ্যা।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) মিটফোর্ড হাসপাতালের একটি সূত্র এ তথ্য জানায়।
সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল সহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে করোনা ইউনিট হওয়ার পর থেকে সেখানে সরাসরি মেডিসিনের রোগী ভর্তি বন্ধ আছে। ঢাকা শহরের প্রায় সব জায়গা থেকে মেডিসিনের রোগী মিটফোর্ড হাসপাতলে আসছে। তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। বেড খালি নেই তাই ফ্লোরে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালকের নির্দেশক্রমে আমরা সব সময় রোগীদের সর্বোত্তম সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশীদ উন নবী জানান, আমাদের এখানে বর্তমানে মেডিসিনে ৬৬৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। প্রতিদিনই অনেক মেডিসিনের রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এদের পাশাপাশি শিশুরাও ভর্তি হচ্ছে। গতকাল সোমবার শুধু মেডিসিনে ভর্তি হয়েছেন ১৫০ জন রোগী।
তিনি আরও জানান, বেড খালি না থাকায় আমরা ফ্লোরে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। আমাদের পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে রোগীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেই মেশিনে তিনধাপে প্রতিদিন ২৫০ জনের পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালে করোনা রোগীর আলাদা কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। যদি কোনো রোগী করোনা পজিটিভ হয়। তাহলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে অথবা অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে মিটফোর্ড হাসপাতালেও করোনা রোগী ভর্তির ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২১
এজেডএস/এমআরএ