ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে টিকা নেওয়া ও মাস্ক পরাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
সোমবার (১২ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে মানুষ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা একজন থেকে তিনজন, তিন থেকে পাঁচজন, পাঁচ থেকে ২৫ জন এভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। দিনে অন্তত তিন বার গরম পানির ভাপ নিতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও ইমিউনিটি বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, ভিটামিন সি ও ডি জাতীয় খাবার খেতে হবে। সবুজ ও হলুদ ফল খেতে হবে। রুমে এসির ব্যবহার না করাই ভালো। রুমের জানালা খোলা রাখতে হবে। লোক সমাগম করা যাবে না। অনেক লোক সমাগম হয় আপাতত এ রকম অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
উপাচার্য বলেন, অহেতুক সরকারের সমালোচনা না করে সবাইকে সহযোগিতা করতে বলেন তিনি।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত সাত হাজার চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। ১৪০ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। তারপরও দেশের চিকিৎসক সমাজ রোগীদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন করোনা মোকাবিলাকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে কেবিন ব্লকে কেবিনের শয্যা সংখ্যা ২০০ তে উন্নীত করা হয়েছে। আইসিইউ বেড বাড়িয়ে ২০টি উন্নীত করা হয়েছে। বেতার ভবনে ১০০ শয্যার নতুন করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে বর্তমানে ৫০টি শয্যা চালু রয়েছে। আরও ৫০টি শয্যা চালুর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে বেতার ভবনে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কেবিন ব্লকে আরও ১০টি আইসিইউ বেড বাড়ানোর কার্যক্রম চলছে। কেবিন ব্লকে করোনা ইউনিটের শয্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে সোমবার (১২ এপ্রিল) মোট ১৫৮৭ জন টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১৩২৬ জন ও প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ২৬১ জন। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫২ হাজার ৭০৬ জন ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৭২ জন।
এদিকে সোমবার পর্যন্ত বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে এক লাখ ৩০ হাজার ৫৪৮ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে ৮৯ হাজার ২৫৪ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।
অন্যদিকে করোনা ইউনিটে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সাত হাজার ৭৮৮ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৪৮৬ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন তিন হাজার ৬৯৭ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১৯৯ জন রোগী ও আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন রোগী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
পিএস/আরবি