ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বাগেরহাটে ফোন করলেই চিকিৎসক যাবেন রোগীর বাড়ি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
বাগেরহাটে ফোন করলেই চিকিৎসক যাবেন রোগীর বাড়ি

বাগেরহাট: “এ নম্বরে ফোন করি, ডাক্তার যাবে রোগীর বাড়ি” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাগেরহাটে রোগীর বাড়ি গিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কার্যক্রম চালু হয়েছে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের উদ্যোগে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল চত্বরে এ ব্যতিক্রমী কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আ.ন.ম. ফয়জুল হক।

এসময় বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার রিজাউল করিম, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ বকসি, বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মিরাজুল করিমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যতিক্রমী এ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের অধীনে চারটি টিম থাকবে। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মিরাজুল করিম এ টিম পরিচালনা করবেন। কোনো রোগী যদি হাসপাতালে আসতে ভয় পান, তাহলে ০১৭৩০-৩২৪৭৯৩ এ নাম্বারে ফোন করলে চিকিৎসক দল গাড়ি নিয়ে চলে যাবে রোগীর বাড়িতে। রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, পরামর্শ ও ওষুধ দেবেন তারা। তবে কোনো রোগীকে যদি হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে ওই গাড়িতে করেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। ব্যতিক্রমী এ চিকিৎসাসেবা চালু করায় সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা।

বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের উদ্যোগে করোনা সংক্রমণের প্রথম ধাপে “ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার” এ স্লোগান নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী চিকিৎসাসেবা চালু করেছিলাম। করোনা সংক্রমণের এ দ্বিতীয় ঢেউয়েও মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ও সংক্রমণ প্রতিরোধে রোগীদের হাসপাতালে আসা নিরুৎসাহিত করতে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় আপতত বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার মানুষ বাড়িতে বসে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে জেলার সব উপজেলায় এ সেবা চালু করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউনের ফলে যানচলাচল সীমিত করা হয়েছে। যার ফলে অনেক রোগী হাসপাতালে আসতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার উদ্যো্গ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই রোগী বাড়িতে বসে চিকিৎসা পাবেন। তিনি যদি সংক্রমিত হয়েও থাকেন, তার মাধ্যমে আর কারও মধ্যে রোগ ছড়ানোর শঙ্কা থাকবে না। এ উদ্যোগের ফলে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ সঠিক চিকিৎসা পাবেন। এছাড়া এ উদ্যোগ করোনা সংক্রমণ রোধেও ভূমিকা রাখবে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম. ফয়জুল হক বলেন, ‘‘এ নম্বরে ফোন করি, ডাক্তার যাবে রোগীর বাড়ি’’- এর মানে হচ্ছে ওই নম্বরে ফোন করা হলে চিকিৎসক রোগীর বাড়ি গিয়ে সেবা দিয়ে আসবেন। এটা বাগেরহাটবাসীর জন্য একটি বড় অর্জন।

বাংলাদেশ  সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।