বাগেরহাট: বাগেরহাটে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হয়েছে।
বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রে এসে টিকা না পেয়ে ফিরে গেছেন অনেকে।
দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের ১৫০ শয্যা ভবনের টিকাদান কেন্দ্রে সামনে প্রচুর লোকের ভিড় দেখা যায়। রোদে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন অনেকে। অনেকে আবার টিকা না পেয়ে চলে যাচ্ছেন ক্লান্ত মনে। কেউ কেউ আবার প্রথম ধাপের মত টিকা শেষ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন।
দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে আসা বাগেরহাট সদর উপজেলার বাগমারা এলাকার বৃদ্ধ কৃষ্ণ কিশোর সেন বাংলানিউজকে বলেন, এখানে কোনো নিয়ম কানুন নেই। অনেকে এসেই অন্য দরজা দিয়ে প্রবেশে করে টিকা পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা পাইনা। এখন বলছে টিকা শেষ। তবে কবে আসবো সে কথাও কিছু বলছে না। যারা প্রথম ডোজ দিয়েছে, তাদের জন্য অন্তত দ্বিতীয় ডোজ মজুদ রাখার দাবি জানান তিনি।
একই উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের বিনদীনি বৈরাগীর (৬৫) বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখন দুপুরে এসে বলে টিকা শেষ। এটা কোনো ধরনের আচরণ জানি না।
শুধু বিনোদীনি এবং কিশোর সেন নয়, একই অভিযোগ টিকা নিতে আসা অনেকের।
বাগেরহাট সিসিভল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ৩ লাখ দুই হাজার টিকা পেয়েছে। এর মধ্যে চীনের সিনোফার্মার এক লাখ ৮৯ হাজার ২০০ ডোজ, ভারতের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৯৯ হাজার, জাপানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১১ হাজার ডোজ এবং যশোর থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই হাজার ডোজ ধার করেছে বাগেরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) একদিনে বাগেরহাটে এক হাজার ৫৭২ জনকে প্রথম ডোজ এবং এক হাজার ৬৬৩ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বাগেরহাট সদর হাসপাতালেই টিকা নিয়েছে ৬৬০ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেব মতে, এখন পর্যন্ত বাগেরহাটে দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭১৯ জন মানুষ টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে সিনোফার্মার প্রথম ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ২৫৬ জন। সিনোফার্মার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩২ হাজার ৬৪১ জন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৮৪ জন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫১ হাজার ৩৮ জন।
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম থেকে বাগেরহাটে টিকার জন্য ব্যাপক চাহিদা ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগও চেষ্টা করেছে সকলকে টিকা প্রদানের জন্য। এ পর্যন্ত আমরা দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭১৯ জনকে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমাদের টিকার মজুদ শেষ হয়েছে। এজন্য কয়েকদিন টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে। মন্ত্রণালয়ে টিকার চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহ থেকে নিয়মিত টিকা দেওয়া করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
এনটি