ই-সিগারেট ব্যাটারিচালিত এমন একটা ডিভাইস, যা দেখতে সিগারেটের মতো। অনেকে সিগারেটের নেশা কাটিয়ে উঠতে ই-সিগারেটের শরনাপন্ন হন! আর তাই তরুণদের অনেকেই আজকাল সিগারেটের বিকল্প হিসেবে কিংবা সিগারেট ছাড়তে হাতে তুলে নিয়েছে ই-সিগারেটের এই ডিজিটাল ভ্যাপিং ব্যবস্থা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ই-সিগারেট তামাকবিহীন হলেও এর রয়েছে নানা ক্ষতিকরক দিক। বিশেষত কৈশোরে, যখন মস্তিষ্কের পরিবর্ধন-পরিবর্তন হয় তখন এই নিকোটিন সাধারণ সিগারেটের মতোই মাদকের প্রতি আসক্তি বাড়ায়। শুধু তাই নয় গাঁজা ও কোকেনসহ এ জাতীয় মাদকের প্রতি আসক্তি বাড়াতে পারে এটি থেকে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুটেস মেডিক্যালের একদল গবেষক দাবি করেছেন, ই-সিগারেটের মাধ্যমে দাহ্য তামাকের কিছু প্রভাব দূর হয় ঠিকই, কিন্তু এটা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।
এছাড়াও ই-সিগারেট যেসব স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে -
• ই-সিগারেটের কার্সিনোজেনিক রাসায়নিক পদার্থ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ
• রোগ-প্রতিরোধকারী কোষ অকার্যকর হয়ে ফুসফুসের রোগ ও শ্বাসযন্ত্রে ইনফেকশন হতে পারে
• সাধারণ সিগারেটের মতোই ই-সিগারেটেও থাকে ক্ষতিকারক নিকোটিন তাই নেশা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ই-সিগারেট স্বাস্থ্যকর এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ই-সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। তামাকযুক্ত সিগারেট খাওয়া মানে যদি হয় ১০০তলা থেকে পড়া তবে ই-সিগারেট হলো ৯০তলা থেকে পড়ার সমান।
এসব ঝুঁকি বিবেচনা করে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ই-সিগারেট নিষিদ্ধের কথা বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
এসআইএস