ঢাকা: বিশ্ব ডায়াবেটিস ফোরামের তথ্য অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী মহামারির আকার নিতে পারে ডায়াবেটিস রোগ। এ সময় রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান হবে সপ্তম।
তাই আগামী দশকে ডায়াবেটিস মহামারির ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সামাজিক সচেতনতা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এক স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম উদ্বোধন করা হয়। এ সময় করোনাকালে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের পাশাপাশি ব্যাপক হারে পরীক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ডেনমার্ক ভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নভো নরডিস্কের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. অজিউল্লাহ এবং আইয়ুব হোসেন। এছাড়া নভো নরডিস্ক বাংলাদেশের ডিরেক্টর কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স তানভীর সজিব ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনাকালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসক-নার্সরা সম্মুখভাগের যোদ্ধা হিসেবে অবদান রেখেছেন। এছাড়া ডায়াবেটিসের মতো অন্য অসংক্রামক রোগের ব্যাপ্তি রোধে চিকিৎসকের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের চেষ্টায় বর্তমানে ডায়াবেটিস চিকিৎসার মানসম্পন্ন ওষুধ সুলভে পাওয়া যাচ্ছে। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের ব্যক্তিগত জীবনে নিয়ন্ত্রিত আচরণ জরুরি।
এ বছর ডায়াবেটিস দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- ‘ডায়াবেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়। ’ অর্থাৎ ইনসুলিনসহ প্রয়োজনীয় সেবার সুযোগ নিতে হবে এখনই। পাশাপাশি এ বছর ইনসুলিন আবিস্কারের ১০০ বছর পূর্তি হয়েছে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির অনুরোধে সরকার ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনে জাতিসংঘে প্রস্তাব করে। জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মুজিব শতবর্ষে স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে টাইপ-১ ডায়াবেটিক শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ইনসুলিন দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
এনএসআর