ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান সাড়ে ১২ হাজার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
দেশে লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান সাড়ে ১২ হাজার

ঢাকা: দেশে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান ১২ হাজার ৫৯২টি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, লাইসেন্স দেওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য (এমপি) নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

বৃহস্পতিবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত শনাক্তকৃত ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান ১২ হাজার ৫৯২টি। লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত ও লাইসেন্স দেওয়া চলমান প্রক্রিয়া। ৫৫ জেলা কার্যালয় ও আটটি বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়মিত দোকান পরিদর্শন করেন। এক্ষেত্রে লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত হলে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। লাইসেন্সবিহীন দোকান মালিকদের নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে ড্রাগ লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

ক্ষমতাসীন দলের আরেক এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বার্থে ওষুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। নকল-ভেজাল ওষুধ বিক্রি প্রতিরোধে কঠোর সরকার। আর নকল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে সরকার নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক হাজার ৭১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে সাত কোটি ৫৮ লাখ ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৪৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে হোমিও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ১৭টি, হারবাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ৪টি, অ্যালোপ্যাথিক প্রতিষ্ঠান ৫টি, ইউনানী প্রতিষ্ঠান ৬টি এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ১৪টি। একই সময়ে ১৪টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সব ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।