ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মঙ্গলবার ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
মঙ্গলবার ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ছবি: রাজিন চৌধুরী 

ঢাকা: সারাদেশে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) একদিনেই ৭৫ লক্ষ মানুষকে কোভিড টিকা দেবার লক্ষ্য নির্ধারণ করে ক্যাম্পেইন কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  

সোমবার(১৮ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক ভিডিও কনফারেন্সে এ মন্তব্য করেন জাহিদ মালেক।

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণকল্পে বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬.০৫ শতাংশকে ১ম ডোজ, ৭০.৩ শতাংশকে দ্বিতীয় এবং ১৭.৯ শতাংশকে বুস্টার (৩য়) ডোজ দেওয়া হয়েছে।  

৫-১১ বছর বয়সী শিশুদেরকেও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাহিদ মালেক।  

মজুদ টিকা শেষ হলে নতুন করে টিকা কীভাবে পাওয়া যাবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডব্লিউএইচও ও কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা নিয়ে আসা হবে। কিন্তু হাতে বিশাল মজুদ থাকলে নতুন করে আনা সম্ভব নয়। এজন্য নিজেদের টিকা দান বাড়াতে হবে।  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৫ প্রকারের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন ও জনসন) মোট প্রায় ২ কোটি ৭৮ লাখ ডোজ কোডিড-১৯ ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে।

৮ কোটি টিকা প্রয়োজন বুস্টারের জন্যে সেটা কীভাবে প্রাপ্তি ঘটবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মর্ডানার থেকে অধিকাংশ টিকা পেয়েছি। এরা নতুন ৩ কোটি টিকা দেবে। তবে মজুদ টিকা প্রয়োগ করতে না পারলে নতুন টিকা পাওয়া অসম্ভব। কোভ্যাক্সের আওতায় বিনামূল্যে টিকা পাওয়া যাবে।  

দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এই ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষকে বুস্টার (৩য়) ও ২য় ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সকল সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদির পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।  

একদিনে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে প্রায় ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রের (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্র) ব্যবস্থা করা হয়েছে।  
ক্যাম্পেইনে একযোগে প্রায় ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদান কর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।  

ক্যাম্পেইনে ২য় ডোজ প্রাপ্তির ৪ মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বুস্টার (৩য়) ডোজ ও ১ম ডোজ প্রাপ্তির নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পরও যারা ২য় ডোজ গ্রহণ করেননি এরূপ ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠী ২য় ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।

সরকার দেশের পিছিয়ে পড়া, ভাসমান, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী, পরিবহন ও কল-কারখানাসহ সকল স্তরের শ্রমিক, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী, স্কুল-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ সকল বিশেষ জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
এনবি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।