কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): গত চার দশক ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সব থেকে বড় উৎসব, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
মেলা উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার (৩০নভেম্বর) এমনটাই জানিয়েছে বুকসেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়।
পাশাপাশি তিনি জানান, স্পেন এই নিয়ে দ্বিতীয়বার থিমকান্ট্রির মর্যাদা পেল। এর আগে ২০০৬ সালে বইমেলার থিমকান্ট্রি হিসেবে স্পেন অংশ নিয়েছিল। সে বছর বইমেলার থিম প্যাভিলিয়নে ভারতের স্প্যানিশ দূতাবাস ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষর হয়। সেই থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্যানিশ ভাষাশিক্ষা বিভাগে স্পেন সরকার প্রতিবছর একজন অধ্যাপককে পাঠানো শুরু করে। এছাড়াও স্পেন থিমকান্ট্রি হওয়ার পর সে বছর থেকে কলকাতায় বিদেশি ভাষা হিসেবে স্প্যানিশের ওপর ডিপ্লোমার আন্তর্জাতিক পরীক্ষা (ডেল) কোর্স শুরু হয়। যা পরিচালনা করে স্পেন সরকারের ইনস্টিটিউট অব সার্ভান্তেস।
স্পেন ছাড়াও প্রতিবছরের মতো এবারও বইমেলায় অংশ নেবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা। থাকবে লিটল ম্যাগাজিনের স্টল। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ নবম কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল, যা অনুষ্ঠিত হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
এবারের উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মুখ্যমন্ত্রী মমতার সৌজন্যে প্রথম বইমেলা পেয়েছে তার নিজস্ব ঠিকানা, ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’। গত কয়েকবছর ধরে কলকাতা বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে। তার আগে হয়েছে মিলন মেলা প্রাঙ্গণে। তারও আগে হতো কলকাতা ময়দানে। বিগত বইমেলায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, স্থায়ীভাবে বইমেলা হবে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে। যার নাম হবে ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পরে গত বইমেলায় (৪৫ তম বইমেলা) ২২ লাখ বইপ্রেমী মানুষ এসেছিল। বই বিক্রির ২৩ কোটি রুপির, যা অতীতের বইমেলার সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, ভারতে স্পেনের রাষ্ট্রদূত খোসে মারিয়া রিদাও দোমিনগেজ, বইমেলার সভাপতি সুধাংশুশেখর দেসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ৩০ নভেম্বর, ২০২২
ভিএস/এমএমজেড